পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

40\e গৌড়ীয়-সাহিত্য তখন বঙ্গীয় সমাজে বিষবৃক্ষের বীজ উপ্ত হ’লো। রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র নিষ্কপটে অপ্রাকৃত সাহিত্যিক-গুরু শ্রীরূপের অনুগ-গণের চরণাশ্রয় না ক’রে ইতর অভিলাষ নিয়ে যখন অপ্রাকৃত রসগ্রন্থ স্পর্শ করবার প্রয়াস করেছিলেন এবং পরে “বিদ্যাসুন্দরে” ( অবিদ্যাসুন্দরে ) অপ্রাকৃত রসরাজ স্বরাটুমুন্দরের সাহিত্যের অবৈধ অনুকরণ ক’রেছিলেন, তখন তা’র সেই আদর্শ কিছুকাল পরে বিদেশ হ’তে পাশ্চাত্য-সভ্যতার আমদানীর সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ইতর-অভিলাষের ইন্ধন-সম্ভারের সহিত যুক্ত হ’য়ে আরও বেড়ে উঠতে লাগলো! তখন রাইকামুর গান নিয়ে হাটে বাজারে ছিনিমিনি খেলার ব্যবস্থা হ’লো। জয়দেব, চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি প্রভূতির যে অপ্রাকৃত-রস-সাহিত্য ছোট-হরিদাসের দণ্ডদাতা শ্ৰীমন্মহাপ্রভু সৰ্ব্বত্যাগের লীলাভিনয় ক’রে স্বরূপ-রামরায়ের দ্যায় জিতেন্দ্রিয়শিরোমণিগণের সঙ্গে একান্তে সমগ্র জগৎ ভুলে’, সম্ভোগ-বাদের সমস্ত কথা পরিত্যাগ ক’রে, বিপ্ৰলন্ত অধিরূঢ়-মহাভাবে বিভাবিত হ’য়ে আস্বাদন করতেন, আজ সেই জিনিষটাকে তথাকথিত সাহিত্যিকগণ প্রাকৃত নগ্ননারীর চিত্রের পাশ্বে সৰ্ব্বসাধারণের পাঠ্য গ্রাম্যবার্তাবহের পণ্যদ্রব্যরূপে—বিলাসী কিম্ব সম্ভোগমদমত্ত অন্যাভিলাষিগণের উপভোগ্য বস্তুরূপে পরিণত করবার চেষ্টা ক’রছে। এতে সমাজের ভাবি-পরিণাম,