পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 9.సె ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ ও অার ক একখানি সংস্কৃত গ্রন্থ আশ্রয় করিয়া শুভদিনে আর্য্যাবর্তের দেব-মন্দিরে প্রবেশ লাভ করিয়াছিলেন। চিরশ্রদ্ধেয় দেবদেবীগণ প্রকৃতির এই আবরণ হীন নগ্ন-সৌন্দৰ্য্যময়ীর অন্তরালে পড়িয়া গেলেন। সদাচু্যত অনান্ত্ৰাত মালতী পুষ্পের ন্যায় এই দেবীকে পাইয়া কবি ও ভক্তগণ আনন্দিত হইল ; চিরারাধ্য দুর্গা ও কালীর উদ্দেশে অtহৃত পুষ্পমালা রাধিকার কণ্ঠে দোলাইয়া দিল ।” অহো ! বঙ্গমাতার ললাট সৌভাগ্য-সিন্দুর-তিলকে উজ্জল হ’লেও আমাদের ন্যায় প্রকৃতিপ্রমন্ত কুলাঙ্গারকে কোলে ধারণ ক’রে তার সৌভাগ্যতিলক আজ বিলুপ্ত ! একমাত্র যে গৌড়দেশের মহাভাগ্যে একবার মাত্র গোলোকের সাহিত্য-জয়শ্ৰী ভূলোকে রূপগ্রহণ করেছিলেন – একবার মাত্র নিখিলসীমন্তিনীকুলমণি সৰ্ব্বকাস্তাগণের অংশিনী কৃষ্ণ কামকেলির বসতিনগরী, সৰ্ব্বপূজ্য, সৰ্ব্বপালিকা, সৰ্ব্বজগতের মাতা, সৰ্ব্বলক্ষ্মী, সৰ্ব্বকান্তি, পরম দেবতা এই বাংলার ভাগ্যে স্বরাটের সেবা-সাহিত্য প্রকাশ ক’রেছিলেন, সেই স্বরূপশক্তিকে—নিখিল-জগদারাধ্যা কালী-দুর্গ-প্রভৃতি ছায়াশক্তির আকররূপা নিত্য-স্বরূপশক্তিকে প্রকৃতির বঞ্চনায় বিমোহিত হয়ে আমরা আমাদের ঔলুক্য-ধর্মের পরিচয় দিতে বাধ্য হ'য়েছি ! এই জন্তই বুঝি বৌধায়ন ঋষি একদিন ব’লেছিলেন,—“যে ব্রাহ্মণ বঙ্গ এবং কলিঙ্গ প্রদেশে পদার্পণ করবেন, তা’কে স্তোম-যজ্ঞের দ্বারা প্রায়শ্চিন্ত করতে