পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 8 × অভক্ত উষ্ট্রের ইথে না হয় প্রবেশ । তবে চিত্তে হয় মোর আনন্দ বিশেষ ॥ গৌড়ীয়-সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য বিশ্ব-সাহিত্য হ’তে গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য এই সাহিত্য-সৌধের ভিত্তি-সংস্থাপন-কালেই প্রকাশিত হ'য়েছে। শ্রীল জীব গোস্বামী প্ৰভু যেদিন শ্ৰীহরিনামামুত ব্যাকরণের মঙ্গলাচরণ ক’রেছেন, সেইদিনই সে-কথা সুস্পষ্টভাবে সাহিত্যিক-সমাজে ব্যক্ত ক’রেছেন । সাহিত্য জীবের উপভোগ্য নয়, সাহিত্য-সুন্দরী— কৃষ্ণযোষিৎ । সাহিত্যের ভোক্তা—অদ্বিতীয়-ভোগ-পুরন্দর কৃষ্ণ । গৌড়ীয়গণের ভজন-প্রণালী আর কিছুই নয়, সেটা কেবল গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণের আনুগত্য স্বীকার ক’রে সাহিত্যের সেবা । গৌড়ীয়-সাহিত্যের মূল মন্ত্রই— “আত্মেন্দ্রিয়-প্রীতিবাঞ্ছ| তারে বলি কাম । কৃষ্ণেন্দ্রিয়-প্রীতি-ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম ॥” আমরা অপ্রাকৃত সাহিত্য-সেবিগণের অনুগত হ’য়ে সেই সাহিত্যের সেবামাত্র করতে পারি—কৃষ্ণের সঙ্গে সাহিত্যের মিলন করানই আমাদের সাধন ও সাধ্য । কৃষ্ণ হ’তে সাহিত্যকে বিচ্ছিন্ন ক’রে র্তা’কে নিৰ্ব্বিশেষ করার দুৰ্ব্বদ্ধি বা কৃষ্ণভোগ্য-সাহিত্যে ভোগ্যবুদ্ধি—দুটােই সাহিত্যের সঙ্গে বিদ্রোহ বা বিদ্বেষ। এই সাহিত্য-সেবাই—গৌড়ীয়ের ভজন-পূজন। মহাপ্রভু তা’র শিক্ষাষ্টকে সমগ্র জীবকে