পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 গৌড়ীয়-সাহিত্য সন্ধি, বিষ্ণুজন-সন্ধি, পুরুষোত্তম-লিঙ্গ, লক্ষ্মীলিঙ্গ, ব্রহ্মলিঙ্গ, শু্যামরাম সমাস, কৃষ্ণ-পুরুষ সমাস, রামকৃষ্ণ সমাস, ত্রিরামী তদ্ধিত প্রভৃতি পাণিনীয় স্ফোটবাদকে অতিক্রম ক’রে এক অতীন্দ্রিয় স্ফোটবাদের বা স্ফোট-সাহিত্যের খনি অবিস্কার ক’রেছে। শ্ৰীল জীব-পাদের স্বত্ৰ-মালিকা, “ধাতু-সংগ্রহ” প্রভৃতি ব্যাকরণ-বিষয়ক গ্রন্থ, শ্ৰীগৌরমুন্দরের অধ্যাপকলীলার “ধাতু-সংজ্ঞা কৃষ্ণ-শক্তি বল্লভ সবার।” “স্বত্রবৃত্তি টীকা যে বাথানে কৃষ্ণ মাত্র ॥” বাক্যেরই দীপ্তিমান-বিগ্রহ। শ্ৰীপাদ বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভুর ব্যাকরণকৌমুদীও গৌড়ীয়-ব্যাকরণ-সাহিত্য-ভাণ্ডারের মহামণি । আমরা পণ্ডিতবর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ব্যাকরণকৌমুদীর নামই সকলে শুনেছি, কিন্তু তারও বহু পূৰ্ব্বে আমাদের এই গৌড়ীয়-বৈষ্ণবাচার্য্য ব্যাকরণ-কৌমুদী’ নামে একটী বৈষ্ণবজনপাঠ্য ব্যাকরণ রচনা ক’রেছিলেন । একমাত্র গৌড়ীয়-সাহিত্যিক—একমাত্র গৌড়ীয়-বৈয়াকরণই স্পৰ্দ্ধা ক’রে—বিশ্ব-বৈয়াকরণ-সমাজকে প্রতি দ্বন্দিতাৰ্থ আহবান ক’রে বলতে পারেন,— “ধাতু-সংজ্ঞা কৃষ্ণশক্তি বল্লভ সবার । দেখি ইহা দূষুক আছয়ে শক্তি কা’র ॥ ভ্রমবশে অধ্যাপক, না বুঝয়ে ইহা । হয় নয় ভাই সব বুঝ মন দিয়া ॥ 将 赛 来