পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-অলঙ্কার গৌড়ীয়-সাহিতো যে অলঙ্কার-সম্পৎ রয়েছে, তা” কাচমণি নয়, নকল কীরক নয়, চুনী, পান্না, প্রবাল, স্ফটিকমাত্র নয়, সে অলঙ্কার “ভূষণের ভূষণ অঙ্গ” ভুবনমোহন নীলমণির বক্ষোবিভূষণ নিখিল-অলঙ্কারের সম্রাট অলঙ্কারকৌস্তুভ । “অলং ক্রিয়তেহনেন ইতি অলঙ্কারঃ ” গৌড়ীয়সাহিত্য তা’র যে অলঙ্কার দিয়ে সাহিত্য-নায়কের সজ্জ! রচনা করে, তা’তে “অলং’ অর্থাৎ যথেষ্ট হ’য়েছে ব’লে ‘ইতি দেওয়া’র কথা নেই। কারণ গৌড়ীয়ের রাজ্য—অপ্রাকৃত । তা’ প্রাকৃত-জগতের মত “ইতি-দেওয়ার” রাজ্য নয়, সেখানে “অলং’ নবনবায়মান, ‘অলং'এর পরম্পরা প্রকাশিত করেও ইতালম্ ব’লে উপসংহার করতে পারে না। গৌড়ীয়-সাহিত্যের রাজ্য—সেই নবনবায়মান “অলং’এর রাজ্য; কাজেই গৌড়ীয়-সাহিত্যের অলঙ্কারের তুলনা চতুর্দশব্ৰহ্মাণ্ডে, বিরজা-ব্রহ্মলোকে, এমন কি বৈকুণ্ঠে পৰ্য্যস্ত পাওয়৷ যায় না। গৌড়ীয়-সাহিত্যের অলঙ্কার কেবল শব্দালঙ্কার, অর্থালঙ্কার নয়, সে অলঙ্কার ব্ৰজনবযুবরাজের অঙ্গের এক একটা অমূল্য বিভূষণ। “ভূষণ-ভূষণাঙ্গ” ললিতত্রিভঙ্গ যে অলঙ্কার পরিধান করেন, সে অলঙ্কারের শোভা কোটি কোটি কনপের শোভাকে তিরস্কার করে । গৌড়ীয়সাহিত্যের অলঙ্কার—বিষয়ালম্বনের আত্মবিস্মাপনকারী রূপমাধুৰ্য্য ও আশ্রয়ালম্বনের অসমোদ্ধা সেবাসীমার গঙ্গা