পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(అ গৌড়ীয়-সাহিত্য —বাণী ঘোষণা করলেন, সেদিন হ’তেই ত’ গৌড়দেশে বঙ্গীয় দৃশু-কাব্যের অভিনয় আরম্ভ হ’লে৷ গৌড়ীয়নাটকাভিনয়ের বৈশিষ্ট্যও নাট্য-নায়ক সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন,— “প্রকৃতি স্বরূপ নৃত্য হইবে আমার । দেখিতে যে জিতেন্দ্রিয়, তা’র অধিকার ॥” সৰ্ব্বমঙ্গচূড়ামণি নাট্য-নায়ক গেীরস্থনারের এই অপ্রাকৃত স্ভিনয়ের অনুসরণে ও অনুকরণেই বঙ্গদেশে নাট্য-কলার বিস্তার হ’য়েছে । বঙ্গদেশের যাত্রাগান প্রভূতি গৌরমুন্দরের এই অপ্রাকৃত অভিনয়েরই অবৈধ খণ্ড অনুকরণ। নাটকের লক্ষণ-বর্ণনে সাহিত্য-দৰ্পণকার ব'লেছেন,— নাটকং খ্যাতবৃত্তং স্যাৎ পঞ্চসন্ধিসমন্বিতম্। বিলাসদ্ধ্যাদি-গুণবায়ুক্তং নানাবিভূতিভিঃ ॥ সুখদুঃখসমুদ্ভূতিনানারসনিরস্তরম্। পঞ্চাদিকা দশপরাস্তত্রাঙ্কাঃ পরিকীৰ্ত্তিতাঃ ॥ প্রখ্যাতবংশে রাজর্ষিধীরোদাত্ত: প্রতাপবান । দিবে।াহথ দিব্যাদিব্যে বা গুণবান্নায়কো মতঃ ॥ এক এব ভবেদঙ্গ শৃঙ্গারো বীর এব বা । অঙ্গমন্তে রসাঃ সৰ্ব্বে কাৰ্য্যং নিৰ্ব্বহণে২ভূতম্ ॥ কোন প্রসিদ্ধ বৃত্তাস্ত অর্থাৎ কোন পুরাণ কথা বা বৃহৎকথা প্রভৃতি চিরমান্ত গ্রন্থের বৃত্তান্ত অবলম্বন ক’রে নাটক রচিত হতে পারে। স্বকপোলকল্পিত বৃত্তান্ত হ’লে তা*