পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ○ > কৃষ্ণলীলা বর্ণিতে না জানে সেই ছার। বিশেষে দুর্গম এই চৈতন্ত-বিহার ॥ কৃষ্ণলীলা, গৌরলীলা সে করে বর্ণন । গৌর-পাদপদ্ম যার হয় প্রাণধন ॥ গৌড়ীয়-কণব্য কৃষ্ণের যাবতীয় মহা গুণের উত্তরাধিকারী কৃষ্ণভক্তগণের মহাগুণ-বর্ণনে গৌড়ীয়-কবিরাজ গোস্বামী প্রভু কবিত্ব’রূপ একটী গুণের নির্দেশ করেছেন । কৃষ্ণভক্তগণ স্বতঃসিদ্ধ কবি; কেননা তারা বাপদুক ব্ৰজনবযুবরাজের নিত্য-উপাসক। বাবদুকত্ব যে প্রকার কাব্য-নায়ক কৃষ্ণের নিত্য স্বভাব, কবিত্বও তদ্রুপ কৃষ্ণুভক্তের একটা স্বতঃসিদ্ধ-ধৰ্ম্ম । শ্রীরূপ— গৌড়ীয়ের অপ্রকৃত মহাকবিগুরু। প্রাকৃত কবি-প্রকৃতিসম্বন্ধীয় বিশ্বরূপে লোলুপ, আর অপ্রাকৃত গৌড়ীয়-মহাকাবগণ প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত ভক্তিলোচনে সপ্রণয়-বিকৃতি নন্দনন্দনের রূপ-সেবার মূর্তবিগ্রহ। কবিকর্ণপুর বলেছেন,—“কবিলাঙ নিৰ্ম্মিতিঃ কাব্যমিতি” । “সবীজে চি কবিজ্ঞেয়: স সৰ্ব্বাগমকোবিদঃ । সরসপ্রতিভাশালী যদি স্তাদ্ভুত্তমস্তদা” । যিনি—সবীজ, তিনিই—কবি। কবি—অলঙ্কারাদি বহু শাস্ত্রজ্ঞ, সরস ও প্রতিভাশালী। শ্ৰীগৌরগোপীজনবল্লভের সেবকগণে এই সবীজত্ব, অলঙ্কারাদি শাস্ত্র-নৈপুণ্য, সরসত্ব ও প্রতিভা চরমকাষ্ঠায় বর্তমান। এ সকল কথা আমরা "গৌড়ীয়-গৌরব”