পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ গৌড়ীয়-সাহিত্য শীর্ষক অভিভাষণে দিগদৰ্শন ক’রেছি। প্রাক্তন-সংস্কারবিশেষই—“বাজ’, যা’ কাব্যের রোহভূমি । যারা অপ্রাক্লত সচজ, যারা নিত্য-ভগবৎসেবায় অনুরাগবিশিষ্ট, তারাই সহজ সৰীজ—‘সবাজ’ শব্দের ইহাই বিদ্বদ্বন্ধঢ়ি । অলঙ্কারাদি শাস্ত্র-নৈপুণ্য, সরসত্ব এবং নব নব উল্লেখশালিনী প্রজ্ঞ। বা প্রতিভা তা’দিগের মধ্যেই প্রচুর । শ্ৰীস্বরূপ-রূপে, রামরায়ে, যে সবাজত্ব, অলঙ্কার-নৈপুণ্য, সরসত্ব ও প্রতিভা, আছে, তা’র উদাহরণ ত্ৰিজগতে দুরের কথা, ঐশ্বৰ্য্যধাম বৈকুণ্ঠে পৰ্য্যস্ত নেই। প্রাকৃত কবিগণ—লতৃণাভ্যবহারী। বামনাচার্য্য যে দুহু প্রকার কবির কথা ব’লেছেন, তন্মধ্যে, সতৃণাভাবহারী কবি র্তা’র-—যা”রা গবাদি পশুর মত তৃণের সঙ্গে অন্নাদি সকল বস্তুই মিশ্রিত ক’রে ভোজন করেন। অর্থাৎ প্রাকৃত কবিগণ প্রাকৃত ও অপ্রাকৃত, মুড়ি ও মিছরি উভয়কে একাকার ক’রে ভোজনে বুত হয়, আর অপ্রাকৃত কবিগণ ঐ প্রকার মিশ্র বা সদোষ সাধারণ কাব্যের আস্বাদক ন’ন, তা’রা বিশুদ্ধ অরোচক অর্থাৎ অন্যাভিলাষ, জ্ঞান, কৰ্ম্ম, যোগাদি হ’তে সৰ্ব্বথা নিন্মুক্ত, অবিমিশ্র, কৃষ্ণেন্দ্রিয়তপণপর কাব্যেই তাদের স্বাভাবিক রুচি। গৌড়ীয়-কবিগুরু কবিকর্ণপুর ব’লেছেন,—অপ্রাকৃত কবিগণ পরম সুলক্ষণসম্পন্ন কাব্য-পুরুষেরই আরাধনা করেন। শব্দার্থ-কাব্যের শরীর, ধ্বনি—প্রাণ, রস— আত্মী, মাধুৰ্য্যাদি—গুণ, উপমা প্রভৃতি—অলঙ্কার, রীতি—