পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ৬৫ আমরা পূৰ্ব্বে দৃশু ও শ্রব্য-কাব্যের মধ্যে দৃশু-কাব্য গৌড়ীয়-নাটকাদির কথা কিছু আলোচনা করেছি। শ্ৰব্যকাব্যের মধ্যে পদ্য ও গদ্য দু’প্রকার ভেদ আছে । সেই পদ্য-কাব্যেরই আবার মহাকাব্য ও খণ্ডকাব্যরূপ দুই প্রকার ভেদ । এই উভয়প্রকার কাব্যই গৌড়ীয়-সাহিত্যে সৰ্ব্বোৎকর্ষে বিরাজিত রয়েছে । গন্ত-কাব্যের ভিতরে যে ‘কথা’ ও *আখ্যায়িকা’রূপ দু'রকম বিশেষ আছে, তা’ ও গৌড়ীয়কাব্যে প্রচুর। বৰ্ত্তমানযুগের শুদ্ধভক্তিপ্রচারের মূলপুরুষ ঠাকুর ভক্তিবিনোদ এবং ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্ৰীশ্ৰীমদ্ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ গৌড়ীয়-গদ্য-কাব্যের ভাণ্ডার পুর্ণ করেছেন। দেবভাষায় যে সকল গৌড়ীয়-কাব্য রচিত আছে, তা’তে গদ্য-কাব্য থাকৃলেও গৌড়ীয়গণের বাংলাসাহিত্যে গদ্য-কাব্য রচনা করবার জন্ত কাব্যকুলগুরু শ্রীরূপপাদের অভিন্নকলেবর শ্ৰীমদ্ভক্তিবিনোদ ঠাকুরকেই গৌরসুন্দর গৌড়মগুলে প্রেরণ ক’রেছিলেন। ঠাকুরের রচিত “প্রেমপ্রদীপ’, ‘জৈবধৰ্ম্ম প্রভৃতি গদ্য-গ্রন্থ একাধারে কথা, আখ্যায়িকা, উপন্যাস, নবদ্যাস বা সৰ্ব্বগৌড়ীয়-সিদ্ধান্তসমন্বিত গৌড়ীয়-গন্ত-কাব্য বলা যেতে পারে। তারপর চম্পু, বিরুদ প্রভৃতি কাব্য ও গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডারে সৰ্ব্বোচ্চ পদবী লাভ করেছে। শ্ৰীল জীব গোস্বামিপাদের ‘গোপালচন্পু, ক্রল কবিকর্ণপুরের ‘আনন্দবৃন্দাবনচম্পু প্রভূতি, শ্ৰীল রূপপাদের গোবিন্দবিরুদাবলী, শ্ৰীল চক্রবর্তী