পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য > প্রতি অবৈধ অনধিকারচর্চা করতে ক্রট করেন নি। ঐরূপ প্রাকৃত সাহিত্যিক অপ্রাকৃত সাহিত্যিক গুরুকে আসামী সাব্যস্ত ক’রে ব্যাসের উপর কলম ধ’রে রায় প্রকাশ করতে ব’সেছেন । বলছেন,—“বৃন্দাবনদাস অবৈষ্ণব-সমাজকে লক্ষ্য করিয়া যে কটুক্তি করিয়াছেন, তজ্জন্ত সমালোচকগণ একবাক্যে র্তাহাকে দোষী সাব্যস্ত করিয়াছেন। তিনি রাগের বশে অসংযতবাগ দুর্দান্ত একটা শিশুর দ্যায় অকৃত্রিম ইতরভাষা প্রয়োগ করিয়াছেন।” প্রাকৃত সাহিত্যিকের অপ্রাকৃতের উপর এরূপ রায়প্রকাশের কতটা যোগ্যতা আছে,—তিনি কতটা অপ্রাকৃতগণের সেবা-প্রাণত বুঝতে পারেন—কতটা কৃষ্ণ ও মায়, সাধু ও গ্রাম্য, সভ্যতা ও অসভ্যতারু পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন, সেটা বিবেচ্য। তবে আমাদের স্বভাব এই যে, আমরা প্রাকৃতের হোম্রা-চোম্রা-কেই ‘সবজাস্তা’ সমালোচক ও সৰ্ব্ববিষয়ে যোগ্য ব’লে ধ'রে নেই। ঠাকুর বৃন্দাবন অসংযতবাগৃ দুৰ্দ্দান্ত শিশুব দ্যায় ইতরভাষা প্রয়োগ ক’রেছেন, আর আমরা ইতর বিষয়ে অভিনিবিষ্ট থেকে আমাদের অশ্লীল আচরণগুলিকে তথা-কথিত সভ্যতার সোণার পাতে ও কপটতাপূর্ণ ভাষার আবরণে ভাচ্ছাদিত রেখে লোকবঞ্চনা করতে জানি ব’লে আমরা খুবই নিরপেক্ষ যোগ্য সমালোচক, এ কথা কিন্তু সুধী-সমাজ স্বীকার করতে প্রস্তুত হবেন না। পরম-প্রৌঢ় কবিরাজ গোস্বামী প্ৰভু