পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ গৌড়ীয়-সাহিত্য এই ঠাকুর-বৃন্দাবনেরই কথা সমগ্র-বিশ্বের নিকট ঘোষণ} ক’রে বলছেন,—

  • ওরে মুঢ় লোক, শুন চৈতন্যমঙ্গল । চৈতন্ত্য-মহিমা যাতে জানিবে সকল ॥ কৃষ্ণলীলা ভাগবতে কহে বেদব্যাস । চৈতন্ত্য-লীলার ব্যাস বুন্দাবনদাস ॥ চৈতন্যমঙ্গল শুনে যদি পাষণ্ডী যবন । সেহ মহা-বৈষ্ণব হয় ততক্ষণ ॥ মনুষ্য রচিতে নারে,—ঐছে গ্রন্থ ধষ্ঠ । বৃন্দাবনদাস-মুখে বক্তা শ্রীচৈতন্ত ॥ চৈতন্য-লীলামৃতসিন্ধু— হুঙ্কান্ধি-সমান। তৃষ্ণারূপ ঝারি ভরি’ তেঁহ কৈলা পান। র্তার ঝারির শেষামৃত কিছু মোরে দিলা । তবেত’ ভরিল পেট, তৃষ্ণ মোর গেলা ॥

শ্ৰীচৈতন্য-ভাগবত-সাহিত্যে সমাজের সম্যক হিত-সাধন যেমন শ্ৰীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহাভারত ও ভাগবতাদি শাস্ত্র রচনা ক’রে বিশ্ববাসী জীবকে হরিভক্তির কথা জানিয়েছেন, আমাদের বাংলার বেদব্যাস ঠাকুর বৃন্দাবনও তেমনি বঙ্গবাসী আপামর সকলকে সহজ, সরল, স্বচ্ছন্দ বাংলা-ছনে সকলবিশ্বের ঠাকুর মহাপ্রভূর লীলা-কথা জানিয়ে