পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ৭৩ ছেন। দ্বাপরযুগে ভগবান বেদব্যাস শ্ৰীকৃষ্ণদ্বৈপায়নরূপে যে করুণার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা’ হ’তেও অনেক বেশী দয়ার পরিচয় দিয়েছেন আমাদের এই বাংলায় অবতীর্ণ ব্যাসবুন্দাবন । এবারকার দয়-নিষ্কপট দয়া । মহাভারতাদি সাহিত্যে যা গোপন ক’রে বলা হ’য়েছিল, শ্রীচৈতন্যভাগবতসাহিত্যে সে-সব অমায়ায় ও সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হ’য়েছে। শ্ৰীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন গ্রাম্যকথা অর্থাৎ মূধিক-বিড়াল-গৃধ্ৰু-গোমায়ু প্রভৃতি ইতর প্রাণীর দৃষ্টান্তযুক্ত ব্যবহারিক কথা দিয়ে প্রাকৃত লোকের চিত্ত হরিকথায় আকৃষ্ট করবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এবার এ ভীষণ কলিযুগে—এই জড়তার যুগে আমাদের গৌড়ের নৈমিষের বেদব্যাস বৃন্দাবন ঐচৈতন্তের পরম-মধুর লীলাময়ী কথার ভিতর দিয়ে বাংলার দ্বাবুে-দ্বারে শ্রীচৈতন্তকৃপা-বিজলি সঞ্চার ক’রেছেন । অধিক কি, আমাদের এই আদি প্রাচীন সাহিত্যিক ঠাকুরট এত অহৈতুক-করুণাময় যে, পতিতপাবন নিত্যানন্দপ্রভুর ভৃত্যস্থত্রে নিত্যানন্দ-নিন্দকগণকে পৰ্য্যন্ত তাদের শিরে পদাঘাত ক’রে রুপ করতে উদ্যত হ’য়েছেন। সৰ্ব্বপ্রথমে ঠাকুর বৃন্দাবনই বাঙ্গালীর ভাষায় গৌড়ীয়-সাহিত্য-নায়ক শ্রীচৈতন্ত-নিত্যানন্দের অদ্ভুত চরিত বাঙ্গালীকে জানিয়েছেন । চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি প্রভৃতি বৈষ্ণব মহাজনগণের পদাবলী বা গুণরাজ-খার শ্ৰীকৃষ্ণবিজয় প্রভৃতি গ্রন্থে ভক্তিকথা কীৰ্ত্তিত হ’লেও গৌড়-গৌরব বিশ্বস্তুরের কথ। এত স্পষ্ট ও বিশদভাবে বর্ণিত হয় নাই,