পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য br> —“গ্রন্থ হয় ব্রজভাষা, সব বুঝি নাহি ।” গ্রন্থকর্তা ব্ৰজভাষায় অভিজ্ঞ না থাকায় হিন্দি ভক্তমালেরও যথাযথ অনুবাদ হয় নাই, তবে অনুকরণ-মাত্ৰ হ’য়েছে। কোন কোন সাহিত্যিক এই পুস্তকখানাকে বহু পূর্বের রচিত ব’লে স্থাপন করতে গিয়ে ঐনিবাস-আচাৰ্য্য প্রভুর শিষ্য কৃষ্ণদাস নামক কোন ব্যক্তির সময় পৰ্য্যন্ত টেনে এনে ফেলেছেন। আবার আর এক সম্প্রদায় ঐ গ্রন্থের ভাষার আধুনিকত্ব সম্পূর্ণভাবে আচ্ছাদন করতে না পে'বে বিশ্বনাথ চক্রবৰ্ত্তিঠাকুরের শিষ্যধারায় ইম্নিতলার প্রাকৃতসাহজিক লালদাস নামক কোন কবির নামে এই গ্ৰন্থখানা আরোপ করবার চেষ্টা ক’রেছেন । এই গ্রন্থের রচয়িতা কৃষ্ণদাসই হউন, আর লালদাসই হউন, কিম্ব আধুনিক কোন কবিষ্ট হউন, আর এই গ্রন্থ সাধারণ বিদ্ধসম্প্রদায় তাদের বিদ্ধমতের অনুকুল জেনে আদরের সহিত গ্রহণষ্ট করুন, যদি এই গ্রন্থ আকৃত্রিম গৌড়ীয়-সাহিত্যকগণের—রূপানুগ সাহিত্যিক গুরুগণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ না করত, তা হলেই এই গ্রন্থ গৌড়ীয় সাহিত্য-ভাণ্ডারে স্থান লাভ করত। বহুলোকের আদর বা অনাদর দেখে সিদ্ধাস্তবিৎ গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণ কোন সাহিত্যগ্রন্থের বহুমানন বা অবমানন করেন না। সাহিত্য ও সিদ্ধান্ত গৌড়ীয়-সাহিত্য ও সিদ্ধাস্ত—এ দুটো জিনিষ একসঙ্গে বাধা । সিদ্ধাস্তকে ছেড়ে সাহিত্য নেই, বা সাহিত্যকে ছেড়ে Ψ)