পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য o সহিত' বা ‘সাহিত্য’—বিচিত্রতা-জ্ঞাপক ‘সহিত’-শব্দ ষঃ্য অথবা সমূ-হিত-ক্ষ্য ক’রে ‘সাহিত্য’শব্দ নিম্পন্ন। ‘সাহিত্য’-শব্দে সংসর্গ, মৈত্রী অথবা সম্যক্ হিতকারক মুসন্নিবিষ্ট-বাক্য-পরম্পরা বুঝায়। ‘সাহিত্য’-শব্দ উচ্চারণ-মাত্রেই একাধিক বস্তুর অধিষ্ঠান এবং তাদের পরস্পরের সহিত একটা মিলন-সম্বন্ধ বা ঐক্যতানের ভাবের হৃদয়ে স্ফূৰ্ত্তি হয়। যেখানে একাধিক বস্তু নেই, সেখানে কা’র সঙ্গে কে মিলিত বা অন্বিত হ’বে ? ‘সহিত’-কথাটার সার্থকতাই থাকে না, যদি একাধিক বস্তু বা বিচিত্রত না থাকে । ‘সাহিত্য’ ও ‘রাহিত্য’ বিচার তা’ হ’লেই দাঁড়াল “সাহিত্য’ মানে—বিলাস। যেখানে বিলাস—বিচিত্ৰতা, সেখানেই সাহিত্য । বিরাগে সাহিত্য নেই—নিৰ্ব্বিশেষভাবে সাহিত্য নেই, সেখানে সব রাহিত্য— ‘নেতি’ নেতি’র পর একটা রাহিত্যভাব মাত্র । বিরাগ জিনিষটা—শুষ্ক, রসাল নহে । সাহিত্য—রসের খনি, তবে বিরক্তি বা ক্রোধকেও যদি কেউ একটা রসের ভিতরে ফেলতে চান, তা হলেও আলঙ্কারিকগণ ত’কে গৌণ ও সাময়িক রসের অন্তর্গতই বলবেন । মুখ্য রসগুলির পুষ্টি বিধান ক’রেই গৌণরস নিবৃত্ত হয়। যেখানে ‘বিরাগ” অর্থে বিশিষ্টরাগ, সেখানে সাহিত্য আছে—সেইটাই প্রকৃত সাহিত্য । যেমন ভাগবত বলছেন—