পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાર গৌড়ীয়-সাহিত্য সিদ্ধান্ত নেই। রসই সাহিত্যের প্রাণ ; যেখানে রসাভাস, সেখানে সাহিত্য নেই । রস আবার সিদ্ধাস্তেরই প্রবাহ । সিদ্ধান্ত ও রস একটাই জিনিষ। গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণ সিদ্ধাস্ত ও রসকলাবিৎ। গৌড়ীয়-সাহিত্যিক বলেন,—

  • সিদ্ধাস্ত বলিয়া চিত্তে না কর অলস।

ইহা হৈতে কৃষ্ণে লাগে সুদৃঢ় মানস ॥” “যদ্বা-তদ্ব কবির বাক্যে হয় রসাভাস । সিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ শুনিতে না হয় উল্লাস ॥” সিদ্ধান্তপূর্ণ ও তত্ত্ববিরোধ-রহিত রচনায় যদি পদ-লালিত্য কমও থাকে, অথবা ভাষা-ব্যাকরণগত বৈগুণ্যও কিছু থাকে, তথাপি অকৃত্রিম গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণ তাকে ও সৎসাহিত্য ব’লে বিচার করেন । মহাপ্রভুর চরিত্রে দেখতে পাওয়া যায়,—যখন ঈশ্বরপুরীপাদ তার ‘কৃষ্ণলীলামৃত” নামক একখানা গ্রন্থ মহাপ্রভুকে সমালোচনার জন্ত দিয়েছিলেন, তখন মহাপ্রভু ব’লেছিলেন,—শ্রেীত-প্রণালীতে রচিতগ্রন্থে— অকৃত্রিম ভগবদ্ভক্তের সাহিত্যে কৃষ্ণের পরিপূর্ণ ইন্দ্রিয়তৃপ্তি হওয়ায় সে সাহিত্যই প্রকৃত সাহিত্য। শুদ্ধভক্তের সাহিত্যে কোন প্রকার তত্ত্ববিরোধ বা রসাভাসদোষ নেই। ব্যাকরণাদি ঘটি গু দোষ বা ভাষাগত বৈগুণ্য সাহিত্যের প্রাণ নাশ করে না, কিন্তু সিদ্ধাস্তবিরোধ হ'লেই সাহিত্যের সৰ্ব্বনাশ সাধিত হয়। মহা প্রভু এই প্রসঙ্গে একটী শ্লোক ব’লেছিলেন,—