পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য br○ “মূখে বদতি বিষ্ণায় ধীরে বদতি বিষ্ণবে। উভয়োস্তু সমং পুণ্যং ভাবগ্রাহী জনাৰ্দ্দনঃ ॥” অনেকে এই শ্লোকটর অবৈধ সুযোগ ও কদৰ্থ ক’রে ব’লে থাকেন,—যিনি যা’ই লেখুন না কেন, সিদ্ধাস্তবিরুদ্ধই হউক, আর রসাভাসদোষ-দুষ্টই হউক, যদি কেবল তাতে ভগবানের নাম () বা গুণলীলার (?) উল্লেখ-ছলনা-মাত্র থাকে, তা হলেই “ভাবগ্রাহী জনাৰ্দ্দনের” সন্তোষ হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ বা রসাভাসদুষ্ট যদ্বাতদ্বা-কবির বাক্যে ভগবানের নাম বা প্রশংসার অভিনয় থাকৃলেও ভাবগ্রাহী জনাৰ্দ্দনের তা”তে আদৌ সন্তোষ হয় না। বঙ্গদেশীয় প্রাকৃত কবির উদাহরণ এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ একদিন নীলাচলে একটী গৌড়ীয়সাহিত্য-সভায় বিশেষরূপে নির্ণীত হ’য়ে গিয়েছে । পূৰ্ব্ববঙ্গীয় কোন ব্রাহ্মণ-কবি শ্ৰীক্ষেত্রে উপস্থিত হ’য়ে মহাপ্রভুর ভক্ত শ্ৰীভগবান আচার্য্যের গৃহে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই কবি মহাপ্রভুর সম্বন্ধে একখানি নাটক রচনা ক’রে ভগবান আচাৰ্য্য ও অনেক বৈষ্ণবকে দেখিয়েছিলেন। সকলেই একবাক্যে কবির কাব্যের প্রশংসা করেছিলেন । এমন কি, এই নাটকখান মহাপ্রভুকে গুনাবার জন্ত সকলেই বিশেষ উদগ্রীব হ’য়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ রস-সিদ্ধান্ত-সম্রাটু