পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*も গৌড়ীয়-সাহিত্য বিচারক,—তিনি স্বরাট -সাহিত্য-রথের সারথী—সিদ্ধান্তের সম্রাটু। তিনি কারো অভিমতের দিকে না তাকিয়ে নিরপেক্ষভাবে সেই সাহিত্য-সভায় বঙ্গীয় বিপ্রকবিকে আহবান ক’রে বল্লেন,—“অহে ! তুমি কি করেছ ! তোমার সাহিত্য, তোমার উপমা, অলঙ্কার, সব যে রসাতলে গিয়েছে ? এত বড় সিদ্ধান্তবিরোধ—তত্ত্ববিরোধ ক'রে বসেছ ! বিষ্ণুবস্তুর দেহ-দেহীতে ভেদ ক’রেছ—অপ্রাকৃত শ্ৰীবিগ্রহে প্রাকৃত বিচার ক’রেছ। আর বিস্তুচৈতন্য শ্রীচৈতন্যদেবকে-ফুলিঙ্গকণার মত অণুচৈতন্য বিচার ক’রেছ ! তোমার সাহিত্য বিষ্ঠাগৰ্ত্তপ্রায় হ’য়ে পড়েছে, তা’তে কাককুল রমণ করতে পারে, কিন্তু মানস-সরোপরের মুনি পরমহংসকুল কখনই তোমার ঐ উচ্ছিষ্টগৰ্ত্তে পতিত হবেন না। যদি মঙ্গল চাও, তবে— “যাহ ভাগবত পড় বৈষ্ণবের স্থানে । একান্ত আশ্রয় কর চৈতন্য-চরণে ॥ চৈতন্তের ভক্তগণের নিত্য কর সঙ্গ । তবে ত’ জানিবে সিদ্ধান্ত-সমুদ্র-তরঙ্গ ॥” সুধীমগুলি! এখন দেখুন, যেখানে সিদ্ধাস্ত-বিরোধ—তত্ত্ববিরোধ, সেখানে বহু লোকের বা বহু তথা-কথিত বৈষ্ণবের অনুমোদন বা আদরের দ্বারা সিদ্ধান্তবিৎ সৎসাহিত্যিকগণ চালিত হন না। এপ্রকারেই গৌড়ীয়সাহিত্যের নামে অনেক সিদ্ধাস্তবিরুদ্ধ ও রসাভাসকুষ্ট অপসাহিত্য বাজারে অবাধে