ሦ8 গৌড়ের ইতিহাস। শৃরবংশের রাজত্বকালে ভাস্কর শিল্পের বিস্তর উন্নতি হয় । মালদহ জেলার ভোলাহাট ও ভবানীপুর নামক স্থানে ৩: হাতদীর্ঘ ও ১ঃ হাত প্রস্থ দুইখানি প্রস্তর প্রতিমা পাওয়া গিয়াছে। ভোলাহাটের মন্তি শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্মধারী মূৰ্ত্তি, বীণাপাণি ও লক্ষ্মী দেবীকে দুই পাশ্বে রাখিয়া দণ্ডায়মান আছেন। চালে হস্তী ও অশ্বারোহী মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। দেবমূৰ্ত্তি বস্ত্ৰালঙ্কারে শোভিত, উপবীতধারিণী। পুংমৰ্ত্তির পরিহিত বস্ত্র হাটুর উপর ও স্ত্রীমূৰ্ত্তির পরিচিত বস্ত্র হাটুর নিম্নদেশ স্পর্শ করিয়াছে। বস্ত্রগুলিতে ফুল তোলা । গলায় হার, হাস্থলি ও হাতে বাউট আছে। শুনা যায়, এই মূৰ্ত্তি নিকটবৰ্ত্তী নদীতে পাওয়া গিয়াছিল। বোধ হয়, নদী তীরবর্তী মন্দির ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় মূৰ্ত্তিটা জলে পড়িয়া গিয়াছে। ভবানীপুরের মূৰ্ত্তি দেবীর মন্তি। পাশ্বদ্বয়ে গণেশ ও অপর একটা মূৰ্ত্তি । শেষোক্ত মুষ্টি ভাঙ্গিয় যাওয়ায় কাৰ্ত্তিকেয়ের মুৰ্ত্তি কিনা জানা যায় না । দেবীমূৰ্ত্তির নাসিক ভগ্ন ও স্তনদ্বয়ছেদিত । স্থানীয় হিন্দুরা ইহাকে ঠাকুরাণঝি ও মুসলমানেরা নাককাটা বলে। প্রতিমাখানিকে একটা বেলের গাছে ঠেস দিয়া রাখা হইয়াছে। পূবে বোধ হয়, এখানে একটি মন্দির ছিল । কারণ একটি উচ্চভূমিতে প্রতিমাখান রহিয়াছে।
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।