ষষ্ঠ অধ্যায় । ৯১ পালবংশীয় রাজগণের তাম্রশাসনের মধ্যে প্রথমতঃ ধৰ্ম্মপালের তাম্রশাসনোক্ত বৃত্তান্তের উল্লেখ করা যাইতেছে — বুদ্ধদেবের দশবলকে নমস্কার করিয়া এই তাম্রশাসনের আরন্ত হইয়াছে। বুদ্ধদেবের দলবল এই – “দান-শীল-ক্ষমা-বীৰ্য্য-ধ্যান প্রজ্ঞ বলানি চ । উপায়ঃ প্রণিধিজ্ঞান, দশবুদ্ধবলানি বৈ ॥” তাম্রশাসনের প্রথম শ্লোক এই – “সৰ্ব্বজ্ঞতাং শ্রিয়মিব স্থিরমাস্থিতস্ত বজ্রাসনস্ত বহুমার-কুলোপলস্তাঃ । দেব্য মহাকরুণয় পরিপালিতানি রক্ষন্তু বো দশবলানি দিশে জয়ন্তি;” দ্বিতীয় শ্লোক দ্বারা জানিতে পারা যায় যে,— দয়িতবিষ্ণু এই বংশের প্রবর্তক। র্তাহার রাজা বা মহারাজ কোন উপাধি ছিল না । তাহাকে কেবল "সৰ্ব্ববিদ্যাবদাত এই বিশেষণে বিশেষিত দেখিতে পাই । দ্বিতীয় শ্লোক এই – “শ্রিমুইব শুভগায়াঃ সস্তুবো বারিরাশিঃ শশধরইব ভাসো বিশ্বমাহলাদয়ন্ত্যাঃ । প্রকৃতিরবনিপানাং সস্তুতেরুত্তমায়া অজনি দয়িত-বিষ্ণু: সৰ্ব্ববিদ্যাবদাত ॥” দরিত-বিষ্ণু হইতে বপ্যট, জন্মগ্রহণ করেন । বপাটের কীৰ্ত্তিমালা সাগর পর্য্যস্ত বিস্তৃত হইয়াছিল। তিনি অনেক শক্র দমন করেন। ইহারও রাজা বা মহারাঞ্জ বিশেষণ দেখিতে পাই না । তবে তিনি রাজা ছিলেন, বুঝা যায়,--নতুবা তাহাকে অরাতি-খণ্ডন করিতে হইবে কেন ? রাজ্যস্থাপনকালে বিরোধিগণের সহিত যুদ্ধ অনিবাৰ্য্য।
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।