సెty গৌড়ের ইতিহাস । বাকৃপালের রাজ্যলাভ হয় নাই । তিনি ভ্রাতার রাজ্য-বিস্তারে বিস্তর সহায়তা করেন। ত্রিভুবনপাল যুবরাজ ছিলেন । তিনিও রাজা হইতে পারেন নাই। বোধ হয়, পিতার জীবদ্দশাতেই তাহার পরলোক হয় । স্বভট নামক কবি ত্রিভুবনপালের আশ্রয়ে এবং উৎসাহে দূতাঙ্গদ নামক ছায়ানাটক সংস্কৃতে রচনা করেন । * তাম্রশাসনে ধৰ্ম্মপালের পরমসৌগত পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ বিশেষণ দেখিতে পাই । ধৰ্ম্মপাল গৌড়েশ্বর উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মপাল পরমসৌগত হইলেও পরধৰ্ম্মদ্বেষ্ট ছিলেন না। মহাসামন্তাধিপতি নারায়ণ বৰ্ম্ম নারায়ণবিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করেন । বিগ্রহ-সেবার ব্যয়ু-নিৰ্ব্বাহাৰ্থ যুবরাজ ত্রিভুবন পালের দ্বারা ধৰ্ম্মপালকে অনুরোধ করেন । ধৰ্ম্মপাল তাহার অনুরোধে নারায়ণভট্টারকের উদ্দেশে যে ভূমি দান করেন, সেই ভূমিদানের বিষয় তাম্রশাসনে উল্লিখিত হইয়াছে। ভূমিদানের সময় রাজা পাটলৗপুত্রের জয়স্কন্ধাবারে ছিলেন। সেখানে তাহার সেবার জন্য রাজগণ সমবেত হইয়াছিলেন। গঙ্গার উপর নৌ-সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । উত্তরদেশীয় সামস্তগণ ধৰ্ম্মপালকে অনেক অর্থ উপঢৌকন দিয়াছিলেন । বোন্ধের জম্বুদ্বীপ শব্দটা কি অর্থে ব্যবহার করিতেন, জানা যায় না । সম্ভবতঃ এই শব্দটী দ্বারা বর্তমান ভারতবর্ষ অপেক্ষ বৃহত্তর ভারতবর্ষকে বুঝাইত । রাজা কোন প্রয়োজনবশতঃ পাটলীপুত্রে জয়স্কন্ধাবার স্থাপন করেন। অশোকের সময়ের পাটলীপুত্র শোণের ভাঙ্গনে নষ্ট হইয়াছিল। উহার নিকটেই এই সময়ে নব পাটলীপুত্র নিৰ্ম্মিত হয়। ধৰ্ম্মপাল বৰ্দ্ধনকোটের ৭০ মাইল উত্তরে একটী 爭
- বিশ্বকোষ-পালবংশ ।