ծՀ গৌড়ের ইতিহাস । অধিষ্ঠানে তাহার নিৰ্ম্মলযশঃ বিস্তৃত হইয়াছিল । ইহার পর বাকপাল, দেবপাল, জয়পাল, ও বিগ্রহপালের কিছু কিছু প্রশংসা করিয়া, নারায়ণ পালের বিধয় বলা হইয়াছে, যথা – “দিকৃপালৈঃ ক্ষিতিপালনায় দধতং দেহে বিভক্তাধিয়ঃ শ্ৰীনারায়ণপালদেবমস্বজন্তস্তাং স পুণ্যোত্তরম্। যঃ ক্ষেীণীপতিভিঃ শিরোমণিরুচশ্লিষ্ট্রাজিন্তু, পীঠোপলং দ্যায়োপাত্তমলঞ্চকার চরিতেঃ স্বৈরেব ধৰ্ম্মাসনম্ ॥” নারায়ণপালের সিংহাসন রাজগণের শিরোমণি-দীপ্তিতে উজ্জল ছিল । তিনি নিজের চরিত্রে হ্যায়োপাত্ত ধৰ্ম্মাসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন । দ্যায়োপাত্ত শব্দ থাকায় বোধ হইতেছে, সিংহাসনের আরও কেহ প্রার্থী ছিল । তাম্রশাসনের পশ্চাদ্ভুক্ত শ্লোকটর অর্থ ঐতিহাসিকগণের অমুসন্ধেয় } শ্লোকটী এই – “যতঃ পুরাণলিঙ্গানি চতুৰ্ব্বৰ্গবিধানী চ | অরিন্সস্তে যতঃস্থানি চরিতানি মহীভূতঃ ॥” - শ্লোকটর যে প্রকৃত পাঠোদ্ধার হইয়াছে, এমন বোধ হয় না। ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র ইহার অর্থ রুরিয়াছেন,--রাজগণ চতুৰ্ব্বৰ্গ-বিধি-বিশিষ্ট লিঙ্গপুরাণের ব্যবস্থা ত্যাগ করিয়া, নারায়ণপালের চরিত্র অনুকরণ করেন । যদি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের অর্থ প্রকৃত হয়, তবে লিঙ্গপুরাণকে যত আধুনিক মনে করা হয়, প্রকৃত প্রস্তাবে তত আধুনিক নহে। লিঙ্গপুরাণখানি পাঠ করিলে বোধ হয়, উহা বাঙ্গলার উত্তর-পূৰ্ব্ব অঞ্চলে প্রণীত হইয়াছিল । নারায়ণ পাল অত্যন্ত দাতা ছিলেন। প্রজ্ঞা ও শাস্ত্রবলে জগৎ বশীভূত করিয়াছিলেন। যথা –
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।