>abr গৌড়ের ইতিহাস । “ত্যজন ঘোষাসঙ্গং শিরসি কৃত পাদঃ ক্ষিতিস্তৃতাং বিতম্বন সৰ্ব্বাশা: প্রসভমুদয়াদ্রেরিব রবিঃ । গুণগ্ৰাম্যাস্নিগ্ধপ্রকৃতিরমুরাগৈক বসতিঃ স্বতে ধন্তঃ পুণ্যৈরজনি নয়পালো নরপতিঃ ॥ নয়পালের মহানসাধ্যক্ষ নারায়ণ দেবের পুত্র চক্রপাণি দত্ত ১৯৬০ খৃষ্টাব্দে র্তাহার সুবিখ্যাত ‘চক্রদত্ত গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । দ্রব্যগুণ, সৰ্ব্বসার সংগ্রহ, চরকটক প্রভৃতি ইহার রচিত। এতদ্ব্যতীত শব্দরত্নাবলী’ নামক অভিধান ও মাঘ কাদম্বরী এবং দ্যায়শাস্ত্রের টীকা রচনা করেন। ময়ূরেশ্বর গ্রামে র্তাহার বসতি ছিল । চক্রপাণি দত্ত লোপ্রবলী নামক বংশে উৎপন্ন হইয়াছিলেন। চক্রপাণি দত্তের জ্যেষ্ঠ ভ্রাত ভানুদত্ত নয়পালের অন্তরঙ্গ অর্থাৎ বিদ্যাকুলসম্পন্ন ভিষক ছিলেন । নয়পালের সময় অতীশ বিক্রমশিলা বিহারের প্রধান অধ্যাপক হন । অতীশের নামাস্তর দীপঙ্কর শ্ৰীজ্ঞান। অতীশ বিক্রমপুরের ক্ষু রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম কমল শ্ৰী বা কল্যাণশ্রী, মাতার নাম প্রভাবতী, গুরুর নাম নারোপা বা অমিতায়ুঃ। নরোপা তিব্বতদেশীয় একজন সাধুপুরুষ। অতীশ গুদন্তপুর বিহারে বৌদ্ধ যতিধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । অতীশের বিমলরত্নালোক’ গ্রন্থ নয়পালের উদ্দেশ্যে লিখিত । নয়পাল অতীশকে অত্যন্ত ভক্তি করিতেন। অনেক সময় বিক্রমশিলায় গমন পূর্বক তাহার পদতলে বসিয়া শিক্ষালাভ করিতেন। নয়পালের সহিত কার্ণ্যরাজ্যের ভয়ানক যুদ্ধ হয়, তাহাতে মগধ-সৈন্ত প্রথম পরাজিত হয়, তৎপর জয়লাভ করে। অতীশের যত্নে উভয় রাজার সন্ধি হয় । অতীশ ১০১৮ খৃষ্টাব্দে তিব্বতে গিয়া মহাযান মত প্রকাশ করেন। ৭৩ বৎসর বয়সে ১০৫৩ খৃষ্টাব্দে লাসা নগরের নিকটবর্তী
- মূলগ্রন্থে “বিক্ৰমণিপুর বাঙ্গালা" মাম আছে ।