Y 85 গৌড়ের ইতিহাস । (জ) হরিবর্মদেব নিজ রাজত্বের ৪২ বৎসরে এই তাম্রশাসন প্রদান করেন । রাণক, রাজপুত্র, রাজামাতা, মহাবৃহপতি, মণ্ডলপতি, মহাসান্ধিবিগ্রহিক, মহাসেনাপতি, মহাকুট, পাশিক, মহাপ্ৰতীহার, কোট্টপাল, দোঃসাধসাধনিক, চেীরোদ্ধরণিক, নৌবলহস্ত্যশ্বগোমহিষজীবিকাধক্ষা, গোল্মিক, দণ্ডপাশিক, দগুনায়ক, বিষয়কার এই সকল পদস্থ ব্যক্তিকে জানাইয়া ভূমিদান করা হইয়াছে। (ঝ ) এই তাম্রশাসনেও চট্টভট্ট জাতির উল্লেখ আছে । রাঘবেন্দ্র কবিশেখর রচিত ভবভূমিবাৰ্ত্ত পাঠে জানা যায় ;– (ক) হরিবল্মা দাক্ষিণাত্য নরপতি ছিলেন, পরে বিক্রমপুরে রাজ্য স্থাপন করেন । (খ ) বালভট্ট, গর্গ ভট্টাচাৰ্য্য, বাচস্পতি মিশ্র প্রভৃতি বিশ্ববিখ্যাত সাত জন পণ্ডিত হরিবল্মার সভা সমলস্কৃত করিয়াছিলেন । (গ) হরিবল্মা একাম্রকাননে অর্থাৎ ভুবনেশ্বরে হরিহর ব্রহ্মা সীতা রাম লক্ষ্মণ হনুমান প্রভৃতি অষ্টোত্তর শত বিগ্রহ, বহুসংখ্যক মন্দির ও সরোবর প্রতিষ্ঠা করেন। (ঘ) অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ প্রভৃতি দেশে হরিবল্মার ধৰ্ম্মকাহিনী বিস্তারিত হইয়াছিল । সে সময়ে গজনীপতি সুলতান মামুদ কর্তৃক পশ্চিম ভারত আক্রাস্ত হইয়াছিল। সুলতান মামুদ কনোজ রাজ্য আক্রমণ করিলে, সেখানকার অনেক ব্রাহ্মণ পলায়ন করিয়া বঙ্গদেশে আগমন করেন । হরিবম্মদেব তাহাদিগকে আশ্রয় দান করেন । এই সকল ব্রাহ্মণের মধ্যে গঙ্গাগতি বৈষ্ণব মিশ্র একজন প্রধান পণ্ডিত ছিলেন । ইনি কান্তকুজের কর্ণাবতী সমাজে বাস করিতেন। নানাস্থান ভ্রমণ করিয়া কোটালিপাড়া নামক
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।