পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ১৬১ “আসে তত্র মহীপালো মালত্যাং নামত: স্ক্রিয়াম । আত্মজং জনয়ামাস নামা বিজয়সেনকম্ ॥ আবার রামদেবের কুলমঞ্জরীতে মালতী, বিজয়সেনের স্ত্রী বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন । বিজয়সেন, পরমমাহেশ্বর বৃষভ শঙ্কর গৌড়েশ্বর । ( ১০৭৯ খৃঃ—১১১৯ খৃঃ । ) বিজয়সেন হইতে রাজ্যের বিস্তৃতি হয়। অনেক রাজা সেনবংশের ; অধীনতা স্বীকার করেন। বল্লালসেন স্বকৃত “দানসাগর গ্রন্থে” লিখিয়াছেনঃ “তদনু বিজয়সেন: প্রাদুরাসীন্নরেন্দ্রে দিশি বিদিশি ভজন্তে যন্ত বীরধ্বজত্বম্ । শিখরবিনিহিতাজ্ঞাবৈজয়ন্তীং বহুস্ত: প্ৰণতিপরিগৃহীতা: প্রাংশবো রাজবংশাঃ ” বিক্রমপুর হইতে প্রাপ্ত অতি প্রাচীন কুলগ্রন্থোক্ত রাঢ়ীয়-বারেন্দ্র দোষনামক কারিকায় আছে,—অনেক বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বন করিয়াছিলেন ; বিজয়সেনের গোঁড়াধিকারের পর, বৈদিক ব্রাহ্মণদের চেষ্টায় তাহারা আবার হিন্দুসমাজে প্রবিষ্ট হম। উমাপতিধর লিখিয়াছেন ;–বিজয়সেনের কীৰ্ত্তিমালা প্রাচেতম অর্থাৎ বাল্মীকি কিংবা পরাশরনন্দন বর্ণনা করিতে পারেন,—আমি কেবল বাক্য পবিত্র করিবার জন্য কিঞ্চিৎ বর্ণনা করিলাম। উমাপতিধরকৃত এই প্রশস্তি-পত্ৰ বারেন্দ্র-শিল্লিকুলচূড়ামণি রাণক শূলপাণি খনন করিয়াছিলেন (চখান) । শূলপাণি, ধৰ্ম্মোপনস্তা মদন দাসের নগু ও বৃহস্পত্তির পুত্ৰ ছিলেন । এখন যেমন দলিলে লেখকের নাম থাকে, তখনও সেইরূপ তাম্রশাসনে খনকের নাম থাকিত। বিজয়সেনের রাজত্বকালে মহাপ্রতাপশালী চোড় গঙ্গদেব কলিঙ্গাধীশ 2 x