সপ্তম অধ্যায় । እግልU তাহারা বলে, বল্লাল সেনের দৌরাত্ম্যে তাছাদের জাতি ছোট হইয়া গিয়াছে । সুবর্ণবণিকেরা বলেন, বল্লালসেন অত্যন্ত অর্থলোভী ছিলেন,— অর্থ লইয়া সহজে দিতেন না । এই অর্থের জন্য মুবর্ণবণিগদিগের পূর্ব পুরুষের সঙ্গে তাহার বিবাদ হয় । বল্লালের ক্রোধে সুবর্ণ বণিগদের জল অনাচরণীয় হইয়া গিয়াছে, ও তাহাদের উপবীত ধারণ নিষিদ্ধ হইয়াছে ; সুবর্ণবণিকেরা বলেন, ৮৪৭ শাকে তাহার বাঙ্গালায় আগমন করেন । গন্ধবণিকেরা তাহার পূর্বেই বাঙ্গালায় আসিয়াছিলেন। বল্লালসেনের সময়, সুবর্ণবণিক্ ও গন্ধবণিকেরা বাঙ্গালার প্রধান বণিগৃঞ্জাতি ছিলেন । গোবৰ্দ্ধন মিশ্রের কুলজীগ্রন্থে আছে ; ধনপতি সওদাগর গৌড় হইতে সুবর্ণবণিগৃদের পাঁচজনকে উজানীনগরে সঙ্গে করিয়া আনয়ন করেন। এই পাঁচজন অযোধ্যা হইতে ব্যবসায়ের জন্ত গৌড়ে আসিয়াছিলেন। আনন্দভট্টের “বল্লাল-চরিত’ ১৪১২ শাকে লিখিত হয় । আনন্দভট্ট বল্লালের সমসাময়িক অনন্তভট্টের বংশজাত ; এই জন্ত আনন্দভট্ট, “বল্লালচরিত’ লিখিবার প্রচুর উপকরণ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ইনি বুদ্ধিমন্ত খান নামক কায়স্থ জমিদারের প্রবর্তনায় “বল্লাল-চরিত” রচনা করেন। আনন্দভট্টের লেখা হইতে জানা যায়, বল্লালের চরিত্র ভাল ছিল না । তিনি প্রথমে শৈব ছিলেন, পরে সিংহগিরি নামক ব্যক্তির প্রবর্তনায় ঘোর তান্ত্রিক হইয়া পড়েন । বল্লাল, ডোমজাতীয় একটী স্ত্রীলোকের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত হন এবং সেই ডোম কস্তাকে সমাজে চালাইবার চেষ্টা করেন ; তজ্জন্ত অনেকেই বিরক্ত হইয়া বল্লালের নিকট হইতে দূরে চলিয়া যায়। ময়মনসিংহের অষ্টগ্রাম প্রভৃতির দন্তুদিগের কুচ্চীনামায় আছে ;– চন্দ্রতু-শূন্তাবনি-সংখ্যশাকে বল্লালভৗতঃ থলু দত্তরাজঃ। শ্ৰীকণ্ঠনাম গুরুণা দ্বিজেন শ্ৰীমাননন্তপ্ত জগাম বঙ্গম।” সুবর্ণ বণিকেরাও রাজার আচরণে তৎপ্রতি বীতশ্রদ্ধ হন । বল্লাল
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।