সপ্তম অধ্যায় । >bra) জয়লাভ হয়, কিন্তু, দৈব প্রতিকূলতা বশতঃ, পারাবত বস্ত্রভ্যন্তর হইতে উড়িয়া রাজপুরে চলিয়া আইসে। অন্তঃপুরিকাগণ রাজার মৃত্যুসম্ভাবনা করিয়া অনলকুণ্ডে প্রাণত্যাগ করেন । রাজা ফিরিয়া আসিয়া এই অসম্ভাবিত বিপদে মুহমান হইয়া অগ্নিকুণ্ডে জীবন বিসর্জন করেন। সেই অগ্নিকুণ্ডের স্থানে এই অগ্নিকুণ্ড পুষ্করিণী হইয়াছে। বাবা আদম, বল্লালের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হন। কাজিকসবা নামক স্থানে তাহার কবর প্রদর্শিত হইয়া থাকে । এই গল্পে এইটুকু মাত্র সত্য থাকিতে পারে যে,—পাঠান-রাজত্ব কালে বাবা আদম নামক কোন ধৰ্ম্মোন্মত্ত দরবেশ, বল্লালসেন নামক কোন প্রাদেশিক রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়াছিলেন । এই বল্লালসেনের শিক্ষক গোপাল ভট্ট ১৩০০ শাকে “বল্লাল-চরিত’ মামক গ্রন্থ রচনা করেন ঃ– - বৈদ্যবংশাবতংসোহয়ং বল্লালো নৃপপুঙ্গব: | তদাজ্ঞয়া কৃতমিদং বল্লাল-চরিতং শুভম্। গোপাল-ভট্টনামা চ তদ্রাজ-শিক্ষকেন চ | অন্ধরাজজমানে বস্থতির্বাণেরধির্কশাকেষু। রুদ্রেশচ দশিতে মাসে রাশিভিমাসসম্মিতৈঃ ” বল্লালসেনের সময়ে পশ্চিমাঞ্চল হইতে কতিপয় ব্রাহ্মণপরিবার বঙ্গদেশে বাসের জন্ত আগমন করেন । বল্লাল র্তাহাদের বাসের বন্দোবস্ত করিয়া দেন । র্তাহারা বৈদিক ব্রাহ্মণ বলিয়া পরিগণিত হইলেন । ১০৬৭ শাকে সামবেদী বশিষ্ঠ গোবিন্দ উপাধ্যায় বঙ্গে আগমন করেন । বল্লালসেনের খুল্লতাত মুখসেন বিক্রমপুরের শাসনকৰ্ত্ত হইয়া যান। তাহার পর কিয়ংকাল লক্ষ্মণসেন বিক্রমপুরের শাসনকর্তা ছিলেন । মুখসেনের পুত্রের নাম ধ্রুবসেন । আনন্দ ভট্ট বলেন, ভবসেন নামক
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।