সপ্তম অধ্যায়। ఫి& বলা হয়। মুসলমানের ঐ অব্দে গৌড়রাজ্য আক্রমণ করে। লক্ষ্মণসেনের কোন পুত্র গৌড়ে অবস্থান করিয়া দীর্ঘকাল মুসলমানদের আক্রমণ প্রতিহত করিয়াছিলেন। ১২০৩ খৃষ্টাব্দে ( ৬০২৩ হিজিরায় ) গৌড়নগর সম্পূর্ণ রূপে মুসলমানদিগের অধিকৃত হয়। হলায়ুধ লক্ষ্মণসেনের ধৰ্ম্মাধিকারী ছিলেন। তিনি স্বকৃত “ব্রাহ্মণসৰ্ব্বস্বে” লিখিয়াছেন, — লক্ষ্মণসেন, র্তাহাকে বল্যে রাজপণ্ডিতের পদ, যৌবনারস্তে মন্ত্রীর পদ ও প্রৌঢ়াবস্থায় ধৰ্ম্মাধিকারীর পদ প্রদান করেন, যথা:– “বাল্যে খ্যাপিতরাজপণ্ডিতপদঃ শ্বেতাংশুবিম্বোজ্জলচ্ছত্রোৎসিক্ত-মহামহত্ত্বনুপদং দত্ত্বা নবে যৌবনে । যস্মৈ যৌবন শেষযোগ্যমথিল-ক্ষ্মাপাল-নারায়ণঃ শ্ৰীমল্লক্ষ্মণসেনদেবনূপতি ধৰ্ম্মাধিকারং দদৌ । এরূপ হইলে লক্ষ্মণসেনের রাজত্ব অতি দীর্ঘ হইয় পড়ে । বোধ হয়, লক্ষ্মণসেনের যৌবরাজ্যসহ রাজত্বের উল্লেখ করা হইয়াছে। লক্ষ্মণসেন, গৌড় ও নবদ্বীপ হইতে তাড়িত হইয়া, পূৰ্ব্ববঙ্গে আশ্রয়গ্রহণ করেন। বহু ব্রাহ্মণ-পরিবার গৌড় ও নবদ্বীপের সন্নিহিত স্থান ত্যাগ করিয়া রাজার সঙ্গী হন । এই জন্ত বিক্রমপুর অঞ্চলে সদ ব্রাহ্মণ-সংখ্যা এত বেশী । লক্ষ্মণসেন পূৰ্ব্ববঙ্গে কতদিন রাজত্ব করেন, তাহা জানা যায় না। সে সময়ে লক্ষ্মণসেনের যতটুকু রাজ্য ছিল, হলায়ূধকে তাহার ধৰ্ম্মাধিকার প্রদান করিয়াছিলেন । হলায়ুধ আপনাকে ‘গৌড়েন্ত্ৰ-ধৰ্ম্মাগারাধিকারী বলিয়াছেন । গোঁড় হইতে তাড়িত হইলেও, সেন-বংশ গৌড়েন্দ্র পদবী হইতে শীঘ্ৰ বঞ্চিত হন নাই । হলায়ুধ মহাপণ্ডিত ছিলেন । র্তাহার পিতার নাম ধনঞ্জয় ও মাওরি নাম উজ্জলা । তিনি বাৎস্তগোত্রীয় ছিলেন। মহাপণ্ডিত হলায়ুধ, শ্রুতি,
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।