సిమVe গৌড়ের ইতিহাস । স্মৃতি, পুরাণ ও তন্ত্রের সারসংগ্ৰহ করিয়া “মৎস্তস্বত্ত” রচনা করেন । সে সময় গৌড়-বঙ্গ তান্ত্রিকতায় সমাচ্ছন্ন হইয়াছিল। যাহাতে হিন্দুসমাজের সদাচার রক্ষা হয়,—তান্ত্রিকতারও প্রতিকূল না হয়, ইহার ব্যবস্থা করিবার অভিপ্রায়েই “মৎস্যস্বত্ত” রচিত হইয়াছিল। “মীমাংসাসৰ্ব্বস্ব”, “বৈষ্ণবসৰ্ব্বস্ব”, “শৈবসৰ্ব্বস্ব”, “পুরাণসৰ্ব্বস্ব” ও “পণ্ডিতসৰ্ব্বস্ব” হলায়ুধের রচিত (ক) । হলায়ুধের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নাম পশুপতি। ইনি লক্ষ্মণসেনের মস্তিত্ব করিয়াছিলেন । পশুপতির “পশুপতি-পদ্ধতি” বা “সংস্কার-পদ্ধতি” নামক স্মৃতিগ্রন্থ বিখ্যাত। হলায়ুধের অপর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, ঈশান, স্মৃতি ও মীমাংসা শাস্ত্রে পরম পণ্ডিত ছিলেন। তৎকৃত “আহ্নিকপদ্ধতি” প্রসিদ্ধ গ্রন্থ । শূলপাণি এই সময়ের একজন প্রধান পণ্ডিত। তাহার “দীপকলিকা নায়ী যাজ্ঞবল ক্য সংহিতার টীকায় ও হলায়ুধের পুরাণসৰ্ব্বশ্বে কায়স্ত জাতিকে ক্ষত্রিয় বর্ণের অন্তর্গত ধরা হইয়াছে। নারায়ণ দত্ত, লক্ষ্মণসেনের মহাসান্ধিবিগ্রহিক, বটুদাস মহাসামন্ত ও শ্ৰীধর দাস মহামাগুলিক ছিলেন । পুরুষোত্তমদেব, লক্ষ্মণসেনের আদেশে “ত্রিকাও শেষ” নামক অভিধান রচনা করেন। লক্ষ্মণসেন, বৌদ্ধ পুরুষোত্তমকে পাণিনি ব্যাকরণের বৈদিক প্রয়োগাংশ বাদ দিয়া ভাষাবৃত্তি রচনা করিতে আদেশ করেন । পূৰ্ব্বে বরেন্দ্রভূমিতে পাণিনি-ব্যাকরণের বিশেষ চর্চা ছিল ; এই সময়ে ( ক ) হলায়ূধমিশ্র একটা শ্লোকে মুসলমানদিগের আগমনকাল লিপির গিয়াছেন,-চতুৰিংশোত্তরে শাকে সহএৈক শতাব্দিকে । (বহার পাটনাৎ পুৰ্ব্বং তুরুষ্ক: সমুপাগতঃ অর্থাৎ ১১২• শীকে তুরুক্ষদের গৌড়রাজ্যে আগমন হয়। প্রথমতঃ মুসলমান দিগকে তুরস্ক বলিতে । { v উমেশচন্দ্র বটবাল-সাহিত্য পত্রিকা ১৩১• । কান্ধন )
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।