১৯৮ গৌড়ের ইতিহাস শরণ, দুরূহ কবিতা দ্রুত রচনা করিতে পারিতেন । “স্থক্তিকর্ণামৃতে” তদ্রচিত পাচটী শ্লোক দৃষ্ট হয় । ইহার কোন গ্রন্থ পাওয়া যায় না । ইনি কাশুপগোত্রীয় গুড়গ্রামীণ কংশ্রোত্রিয় ছিলেন । গোবৰ্দ্ধনাচার্য “আর্গ্যাসপ্তশতী” নামক শৃঙ্গার-রস-প্রধান কাব্যরচনা করেন । জয়দেব লিখিয়াছেন—“শৃঙ্গারোত্তরসৎপমেয়রচনৈরাচার্যাগোৰদ্বনম্পন্ধা কোহপি ন বিশ্রাতঃ”, অর্থাৎ শৃঙ্গাব-রসের ভাল রচনাতে গোবৰ্দ্ধনাচার্যোর স্পৰ্দ্ধা করিতে পারে, এমন কাহার ও নাম শুমা যায় নাই। “আর্যাসপ্তশতী’তে সেন-বংশের উল্লেখ আছে ;– “সকলকলাঃ কলয়িতুং প্রভূঃ প্রবন্ধস্ত কুমুদবন্ধোশ্চ । সেন-কুল-তিলক-ভূপতিরেকে রাক প্রদোষশ্চ ॥” ইহার অর্থ এই যে, একমাত্র সেন-কুল-তিলক ভূপতি ও পূর্ণিমার সন্ধ্যাকাল প্রবন্ধের ও চন্দ্রের সকল কলা প্রকাশ করিতে সমর্থ । গোবৰ্দ্ধনের শিষ্য উদয়ন ও সহোদর বলভদ্র দ্বারা আর্য্যাসপ্তশতী” সংশোধিত হইয়া প্রকাশিত হয়, যথা :~~ “উদয়ন-বলভদ্রাভ্যাং সপ্তশতী শিষ্যসোদরভ্যাং মে । দ্যোরিব রবিচন্দ্রাভ্যাং প্রকাশিত নিৰ্ম্মলীক্লত্য !" গোদ্ধনের পিতার নাম নীলাম্বর। গোবৰ্দ্ধন পুতিতুগু-বংশীয় ছিলেন । বল্লালসেন ইহাকে কৌলিন্ত-মর্যাদা পদান করেন । দাতা বলিয়াও গোবৰ্দ্ধনের মুখ্যাতি ছিল । জয়দেব “গীতগোবিন্দ” রচনা করিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন। সংস্কৃত ভাষায় এমন মধুর গীতিকাব্য বিরল। “গীতগোবিন্দ” জয়দেবের বদ্ধ পরাশরাদি কর্তৃক গীত হইত। জয়দেব বাৎস্তগোত্রীয় কাঞ্জিলালগ্রামীণ ছিলেন। ইহার স্ত্রীর নাম পদ্মাবতী। পদ্মাবতীর পিতা পদ্মাবর্তীকে জগন্নাথের সেবাদাসী করিয়া দিয়াছিলেন । জয়দেব জগন্নাথ
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।