সপ্তম অধ্যায় । పిసిన ক্ষেত্রে পদ্মাবতীকে প্রাপ্ত হন, এবং নিজের সহধৰ্ম্মিণী করেন ৷ জয়দেবের সামাজিক মৰ্য্যাদা কিরূপ ছিল, তাহা ইহাতে বুঝা যায়। বৃন্দাবনধামে জয়দেবের পরলোক হয়। জয়দেবের মৃত্যুর কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে পদ্মাবতীর মৃত্যু হয় । বীরভূম জেলার অজয়নদতীরবর্তী কেন্দুবিল্বগ্রামে জয়দেবের বাস ছিল । কেন্দুবিস্বের বর্তমান নাম কেন্দুলি । অদ্যাপি তথায় জয়দেবের স্মরণার্থ প্রতি বৎসর পৌষমাসের শেষদিনে মেলা হইয়া থাকে । so লক্ষ্মণসেনের সভার অন্ত এক প্রসিদ্ধ কবির নাম ধোয়ী । ধোয়ী কবিত্বশক্তির জন্তু কবিত্মাপতি অর্থাৎ কবিরাজ উপাধি প্রাপ্ত হন । ধোয়ী কাশুপ-গোত্রীয় পালধি-গ্রামীণ ছিলেন । তিনি “পবনদূত” নামক কাব্য রচনা করিয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন । মহাকবি কালিদাস “মেঘদূত” রচনা করিয়া যে পথপদর্শন করিয়া গিয়াছেন, সেই পথ ধরিয়া পরবর্তী কবিগণ “পবনদূত”, “উদ্ধবদূত", কোকিলদূত”, “হংসদূত”, “পদাঙ্কদূত” প্রভৃতি রচনা করিয়াছেন । ইহার কেহই কালিদাসের ন্যায় ক্ষমতাপন্ন ছিলেন না,—কাহারও কাব্য “মেঘদূতে’র ন্যায় সৰ্ব্বাঙ্গস্থদের হয় নাই ধোয়ী কবির বর্ণনার বিষয় :-লক্ষ্মণসেন একবার দিগ্বিজয় করিতে গিয়া ভারতের দক্ষিণাংশে মলয় পৰ্ব্বতে উপস্থিত হন । র্তাহাকে দেখিয়া কুবলয়ুবতী নামী গন্ধৰ্ব্বকন্যা কুসুম-শরের বশীভূত হন । তিনি পবনকে দূত করিয়া লক্ষ্মণসেনের নিকট পাঠাইতেছেন ও পথ বলিয়া দিতেছেন। কালিদাসের যক্ষও মেঘকে পথ বলিয়া দিয়াছিল। সে পথের বর্ণনা অতি মনোহর—যেন কালিদাস রামগিরি হইতে কৈলাস পর্য্যস্ত সমস্ত স্তান স্বচক্ষে দেখিয়ছিলেন । ধোয়ী কবির বর্ণনা পাঠ করিলে বোধ হয়, তিনি নিজের চক্ষে কোনকালে তাহার বর্ণিত পথ দেখেন নাই । ধোয়ী কবির পবনদূতে সুহ্মের বর্ণনা আছে । সুহ্মের রাজধানী
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।