ર ૦ ર গৌড়ের ইতিহাস । লক্ষ্মণসেন একজন বিখ্যাত ধনুৰ্দ্ধর ছিলেন। “সেখস্তুভেদেয়া”তে লিখিত আছে, রাজা গঙ্গাতীরে শরাভ্যাস করিতেন ; তাহার শর গঙ্গার পরপারে গিয়া পড়িত এরূপ ও লিখিত আছে, সে সময়ে গৌড়নগরে মদন নামক এক ব্যক্তি বাস করিত ; সে ধনুর্বিদ্যায় রাজাকেও অতিক্রম করিয়াছিল। কেশবসেনের তাম্রশাসনে আছে,—লক্ষ্মণসেন, দক্ষিণসমুদ্রের বেলাভূমিতে মুষলধর ও গদাপাণির সংবাসবেদীতে, অসি বরুণার গঙ্গাসঙ্গম বারাণসী ক্ষেত্রে ব্রহ্মার পবিত্র যজ্ঞক্ষেত্র ত্রিবেণীতে যজ্ঞযুপের সহ সমর-জয়-স্তম্ভ স্থাপন করিয়াছিলেন ; যথা—- “বেলায়াং দক্ষিণান্ধেমুষলধরগদাপাণিসংবাসবেদ্যাং ক্ষেত্রে বিশ্বেশ্বরম্ভ স্ফুরদসিবরুণাশ্লেষগঙ্গোৰ্ম্মিভাজি । তীরোৎসঙ্গে ত্রিবেণাং কমলভবমথারম্ভনির্বাজপুতে যেনোচ্চৈর্যজ্ঞযুপৈঃ সহ সমরজয়স্তম্ভমালান্তধায়ি ” লক্ষ্মণসেন যে জগন্নাথক্ষেত্র, বারাণসী ও প্রয়াগ কোনকালে অধিকার করিয়াছিলেন, তাহ বোধ হয় না । ঐ সকল স্থানে যে যুদ্ধে জয়লাভ করিয়াছিলেন, ইহার কোন পমাণ নাই। তখন বারাণসীক্ষেত্র পরাক্রান্ত কান্তকুজরাজ্যের অন্তর্গত ও জগন্নাথক্ষেত্র গঙ্গাবংশীয়দের অধিকৃত ছিল। বোধ হয়, তীর্থস্থানগুলিতে যজ্ঞযুপ স্থাপন করিয়াছিলেন । সতীশিরোমণি শ্ৰীমতী বসুদেবী, লক্ষ্মণসেনদেবের মহিষী ছিলেন। “সেখ-শুভোদয়া’য় লিখিত আছে, রাজ শেষ বয়সে বল্লভানামী নারীকে বিবাহ করিয়াছিলেন। বল্লভ অত্যন্ত প্ৰগলভ ছিলেন,—এমন কি তিনি রাজসভায় উপস্থিত হইয়া রাজকাৰ্য্যের বাঘাত জন্মাইতেন ; রাজা ভয়ে কোন কথা বলিতেন না । রাজপ্তালক কুমার দত্তের রাজ্যমধ্যে প্রবল প্রতাপ ছিল । ইহার নামে কোন অভিযোগ উপস্থিত হইলে,
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।