সপ্তম অধ্যায় । ෆි (L বল্লভা, ভ্রাতৃপক্ষাবলম্বন করিতেন। একদা মধুকরনামক বণিকের পত্নীর সতীত্বনাশের চেষ্টা ও রত্নালঙ্কার হরণ করায় রাজদ্বারে কুমার দত্তের নামে অভিযোগ উপস্থিত হয়। বল্লভার জন্ত কুমারদন্তের কোনই দণ্ড হয় নাই। একদিন গঙ্গাস্নানোপলক্ষে গৌড়সন্নিকটবৰ্ত্তী গঙ্গাতীরে বহুলোকসমাগম হয়। জয়দেব প্রমুখ পণ্ডিতগণ সস্ত্রীক গঙ্গাস্নানে আগমন করিয়াছিলেন । রাজমহিষী এক নগরবাসিনীর করে সুন্দর কঙ্কণ দেখিতে পাইয়া, বলপূর্বক তাহা গ্রহণ করেন এবং পতাৰ্পণ করিতে অঙ্গীকার করেন। রাজসভার প্রধানগণ বিরক্ত হইয়া উঠিলেন ; নগরবাসিনী রাণীকে “কাঠকৃড়াণীর বেট” বলিয়া গালি দিল । পতনের কালে রাজপরিবারে ও রাজতন্ধে এইরূপ তনীতিই প্রবেশ করিয়া থাকে ! লক্ষ্মণসেন, অনেক সময়ে স্বপুল মাধবসেন ও কেশবসেনকে বিক্রম পুর ও গৌড়ের শাসনভার সমর্পণ করিয়া, নিজে নবদ্বীপে বাস করিতেন । নবদ্বীপের পণ্ডিতমণ্ডলীর সহ শাস্বালাপে তাহার সময় অতিবাহিত হইত। সেই সকল পণ্ডিত উৰ্দ্ধলোকের বিষয় যত জানিতেন, পৃথিবীর কোথায় কি আছে, তাহার তত সংবাদ রাখিতেন না । যে রাজসভা জয়দেবের “দেহিপদপল্লবমুদারম্” শুনিয়া ভাবভরে বিভোর হইয়া থাকে, তাহা হইতে ক্ষত্ৰিয়তেজ যে অন্তধান করিবে, তাহাতে বৈচিত্র্য নাই । লক্ষ্মণসেন নবদ্বীপকে একটী নগরে পরিণত করেন । বর্তমান নব, দ্বীপনগরের চারিক্রোশ পূৰ্ব্বে সুবর্ণবিহার নামক একটা বৌদ্ধবিহার ছিল। পাল-রাজগণের সময় এখানে একজন শাসনকর্তা বাস করিতেন । কালক্রমে ভাগীরথী হইতে একটা শাখা বাহির হইয়া বৰ্ত্তমান, মায়াপুরীর নিম্ন দিয়া প্রবাহিত হয় । নবদ্বীপ এই শাখার তীরে স্থাপিত হয় । সপ্তগ্রাম হইতে বাণিজ্য-পোত উত্তর পশ্চিম প্রদেশে ৪ জলিঙ্গ দিয়া পূৰ্ব্ববাঙ্গালায় যাওয়ার সময় নবদ্বীপের নিকট দিয়া গমন করিত ; তজ্জন্ত
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।