পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ૨૦ (t কবিরামের “দিগ্বিজয় প্রকাশে” লিখিত আছে, লক্ষ্মণসেনেদেব সেনহাটী গ্রামের পত্তন করিয়া যশোরেশ্বরীর নিকট একটী শিব-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । কবিরাম, রাজা প্রতাপাদিত্যের সময়ের লোক ; তাহার বাক্য কতদূর বিশ্বাসযোগ বলা যায় না । লক্ষ্মণসেন প্রথম বয়সে শৈব, ও শেষ বয়সে পরম বৈষ্ণব হন। রাণঘাটের নিকট আনুলিয়ায় প্রাপ্ত তাম্রশাসনে লক্ষ্মণসেনের পরমবৈষ্ণববিশেষণ দেখিতে পাই । কিন্তু কেশবসেনের তাম্রশাসনে তাহার অরিরাজ স্বদনশঙ্কর’—বিশেষণ দুষ্ট হয় । লক্ষ্মণসেন-দেবের চারিখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। তৎসমুদয়ের প্রথমে মহাদেবের বন্দনা দৃষ্ট হয় ; প্রথম শ্লোকটী এই,— “বিড়াদ্যত্র মণিদ্রাতি; ফণিপতেবালেন্দুরিন্দ্রায়ুধং বারি স্বৰ্গতরঙ্গিণী সিতশ্চিরোমালীবলাকাবলী । ধ্যানাভ্যাস সমীরণোপনিহিত শ্রেয়োঙ্ক রোস্তৃতয়ে ভূয়াদ্ব: স ভবাৰ্ত্তিআপভিজ্বরঃ শস্তোঃ কপর্দা দঃ ” লক্ষ্মণসেনের তিনখানি তাম্রশাসনের মধ্যে একখানি সুন্দরবনের নিকট, একখানি দিনাজপুরের তপণদীর্ঘীর নিকট ও অপরখানি রাণঘাটের নিকট আনুলিয়া গ্রামে পাওয়া গিয়াছে। তিনখানিই বিক্রমপুর জয়স্কন্ধাবার হইতে প্রদত্ত হইয়াছে । সুন্দরবনের তাম্রশাসন—ইহা জগদ্ধর দেবশৰ্ম্মার প্রপৌত্র নারায়ণ দেবশৰ্ম্মার পৌত্র, নরসিংহদেবশৰ্ম্মার পুত্র, গার্গগোত্রীয় অঙ্গিরা-বৃহস্পতিশীলগৰ্গ-ভরদ্বাজ-প্রবর ঋগবেদাশ্বলায়নশাখ্যাধ্যায়ী কৃষ্ণধর দেবশৰ্ম্মাকে দেওয়া হইয়াছিল। প্রদত্ত ভূমি পৌণ্ডবৰ্দ্ধনভূক্তাস্তঃপাতী খাষ্ট্ৰীমণ্ডলিকার মধ্যস্থ শাস্তুশাবিক গ্রামে ছিল । বোধ হয়, কৃষ্ণধর দেবশী শাস্তশাবিক গ্রামবাসী ছিলেন, শাস্তশাবিক, কৃষ্ণধরের বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হইয়াছে । ,