সপ্তম অধ্যায় । ૨ ૭ છે. সপ্তম বর্ষের ৩রা ভাদ্র দিনে প্রদত্ত হইয়াছে। অামুলিয়ার তাম্রশাসনখানি রাজার রাজত্বের তৃতীয় বর্ষে ৯ই ভাদ্রে প্রদত্ত হইয়াছে। ইহারও দূতক নারায়ণ দত্ত সান্ধিবিগ্রহিক । ৪র্থ তাম্রশাসনখানি পাবনা জেলার মাধাই নগরে পাওয়া গিয়াছে। উহাতে সেনরাজগণকে কর্ণাট ক্ষত্ৰিয় নৃপ বলা হইয়াছে। কবি ও ধৰ্ম্মব্যবসায়ী পণ্ডিতগণ লইয়া রাজা যখন পরম সুখে কাল. ক্ষেপণ করিতেছিলেন, সে সময়ে পশ্চিম ভারত হইতে মুসলমানদের লোলুপদৃষ্টি গৌড়রাজ্যের উপর পতিত হইল। লক্ষ্মণসেনের সময় প্রথমতঃ বিজয়চন্দ্র, পরে ১১৭০ খৃঃ হইতে ১১৯৪ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত জয়চন্দ্র কনোজের রাজা ছিলেন। সাহাবুদ্দিন মহম্মদ ঘোরীর সেনাপতি কুতবউদিনের সঙ্গে যুদ্ধে ১১৯৪ খৃষ্টাব্দে জয়চন্দ্র মারা যান। মুসলমানেরা কনৌজরাজ্য অধিকার করিল, মগধের পশ্চিমলীম পর্যন্ত তাহদের রাজ্য বিস্তৃত হয়। মগধ অধিকার করিতে মুসলমানদিগের অধিক কষ্টস্বীকার করিতে হয় নাই। মগধ অধিকার পূর্বক মুসলমানগণ গৌড়রাজ্যে দেখা দিল। লক্ষ্মণসেনের তৃতীয় পুত্র বিশ্বরূপ সেন গৌড়ে অবস্থান করিয়া গৰ্গৰ্ষবনাম্বয় দিগকে বারংবার পরাজিত করেন । ঘোর প্রদেশীয় যবনদিগকে সম্ভবতঃ গৰ্গযবনাম্বয়’ বলা হইয়াছে। অবশেষে হিন্দু সেনাগণ পরাস্ত হইয়া যায় ; মুসলমানের গৌড় অধিকার করে * । কেশবসেন বিক্রমপুরে পলায়ন করেন। মুসলমান সেনা নবদ্বীপাভিমুখে ধাবিত হয় । মুসলমান-সেনাপতি • অনেকের মত নবদ্বীপ মুসলমানের প্রথমে অধিকার করে (১২-৩ খৃঃ) । পরে গৌড় ১২.৫ খ, অধিকার করে। নবদ্বীপের স্কায় সহজে গৌড় অধিকৃত হয় নাই। মুসলমানদের গুপ্তচরগণ দীর্ঘকাল গৌড়ে থাকিয়া নগর-প্রবেশের গুপ্তপথ এক বৃদ্ধায় মুখে জানিতে পারিয়া জহরপুরের দাড়া দিয়া সেনাগণকে নগরে প্রদেশ করায়-এ দেশে এইরূপ জনপ্রবাদ । >8
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।