পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ গৌড়ের ইতিহাস । সন্তান চিরদুঃখী হইবে, কিছুক্ষণ পরে প্রসব হইলে রাজকুমার দীর্ঘকাল রাজত্ব করিবে।” ইহা শুনিয়া রাণী ভৃত্যগণকে আজ্ঞা করেন যে,-“তোমরা আমার পদদ্বয় উদ্ধে বন্ধন করিয়া আমাকে নিম্নমুখে ঝুলাইয়া দাও।” লক্ষ্মণসেন পিতৃপ্রবৰ্ত্তিত কুলবিধির উৎসাহদাতা ছিলেন । তারা নাথের মতে সেন-বংশীয় শেষ রাজার নাম প্রতিসেন । হিন্দীভাষায় "আলহাখণ্ড” নামে বীররসপূর্ণ একখানি ঐতিহাসিক কাব্য আছে। তাহাতে লিখিত আছে, রাজা জয়চন্দ্র যে সময়ে কনোজে রাজত্ব করেন, তখন স্থরষভামু বঙ্গদেশের রাজা ছিলেন । জয়চন্দ্রের পুত্র লাখন, আলুহা ও উদল প্রভৃতি বীরগণের সহায়তায় বঙ্গাধিপের সৈন্তগণকে পরাজিত করিয়া বঙ্গ-রাজকুমারীর পাণিগ্রহণ করেন । সে সময় বিবাহ যোগ্য রাজকুমারীর টীকা লইয়া ঘটক ভিন্ন ভিন্ন রাজসভায় যাইত ; যিনি সেই টীকাগ্রহণ করিতেন, রাজকুমারীর পিতাকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া তাহাকে রাজকুমারীর পাণিগ্রহণ করিতে হইত। রাজা জয়চন্দ্রের সভা-বর্ণনায় লিখিত আছে—“গৌড়-বঙ্গালে কি বঙ্গালী বৈঠে দিল্লীকা চৌহান” । রাজা জয়চন্দ্রের সময় লক্ষ্মণসেন বঙ্গের রাজা ছিলেন ; স্থর্য ভামু যে র্তাহার নামান্তর এমন কোন প্রমাণ श्रां७ब्र शांच्च माझे । মাধব সেন । লক্ষ্মণসেনের পরলোকের পর মাধবসেন রাজা হন । মুসলমানদের হস্ত হইতে অবশিষ্ট্র রাজ্যের রক্ষার জন্য র্তাহাকে সৰ্ব্বদা প্রস্তুত থাকিতে হইত্ত । হরিমিশ্রের কারিক পাঠ করিলে জানা যায়, মাধবসেন রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণদের চারিবার সমীকরণ করেন। আমার বোধ হয়,