প্রথম অধ্যায় । - ছড়াইয়া পড়ে । বামনপুরাণে আছে,--নয় জন নাগ চম্পাবতীপুরী ভোগ করেন ; এখানে হুণদিগকে নাগ বলা হইয়াছে । খৃষ্টীয় শতাব্দীর পর আর অঙ্গরাজ্যের বিশেষ উল্লেখ পাওয়া যায় না । বিদেহ বা মিথিলা । বিদেহ প্রাচীন রাজ্য। আর্য্যগণ সরস্বতী-তীর হইতে আসিয়া এখানে উপনিবিষ্ট হন। শতপথ ব্রাহ্মণে আছে, বিদেহ মাঘব পুরোহিত বহুগণ ঋষির সহিত সদানীরা অতিক্রম করিয়া, বিদেহদেশে আসিয়া বাস করেন। এই সদানীরা কোশল রাজ্যের পূর্বসীমাস্ত কোন নদী। মহাভারতৃে ভীমের দিগ্বিজয় বৃত্তান্তপাঠে বোধ হয়, ইহা সরযু ও গণ্ডকীর মধ্যবৰ্ত্তিনী ; জৰ্ম্মণ পণ্ডিত ওয়েবর সাহেবের মতে গণ্ডকীর নাম সদানীরা ¥ অমরকোষ ও হেমচন্দ্রের মতে করতোয়ার নাম সদানীরা । রামায়ণ ও মহাভারতে বিদেহ রাজ্যের নানা বৃত্তান্ত বর্ণিত হইয়াছে। এখানকার প্রাচীন রাজগণের “জনক” উপাধি ছিল সীতার পিতা সীরধ্বজ জনক এখানকার রাজা ছিলেন । এই রাজ্যের নামান্তর মিথিলা । এখান হইতে আর্য্যগণ কামরূপ অঞ্চলে গিয়া উপনিবিষ্ট হন । বোধ হয়, সমুদয় উত্তর বঙ্গে বিদেহ হইতে আর্য্য-উপনিবেশ বিস্তৃত হয়। ভবিষ্যপুরাণে বিদেহের তীরভূক্তি নাম দৃষ্ট হয়। কিন্তু অন্ত কোন প্রাচীন পুরাণে ঐ নাম নাই। শক্তিসঙ্গম তন্ত্র মতে গণ্ডকী তীর হইতে চম্পকারণ্য পৰ্য্যন্ত স্থানকে তৈরভুক্ত ও তাহার পূৰ্ব্বভাগকে বিদেহ বলিত।
- ওয়েবরের মত ঠিক নহে-“গণ্ডকৗঞ্চ মহাশোণং সদানীরাং তথৈব চ।
এক পৰ্ব্বতকে সদ্যঃ ক্ৰমেণৈব ব্রজস্তিতে ॥” 會 সভাপর্ব, ১৯৭ অধ্যায় । এখানে স্পষ্টই গণ্ডক ও সদানীরাকে পৃথক্ নদী বলা হইয়াছে।