●धंशंभ ठाथrांग्न । ృ9 বৈদিক ধৰ্ম্ম হইতে পৃথক, ইহার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বৌদ্ধধৰ্ম্ম ওতপ্রোতভাৰে মিশিয়া আছে। বাঙ্গালার বৈষ্ণবধৰ্ম্ম, বৌদ্ধধৰ্ম্মের মুসদৃশ সস্তান। সুহ্ম । দক্ষিণ রাঢ়ের প্রাচীন নাম সুহ্ম। তমলুক বা প্রাচীন তাম্রলিপ্ত প্রাচীন মুহ্মের অন্তর্গত। স্বন্ধের পর উৎকল দেশ। "রঘুবংশের” রঘুর দিগ্বিজয়-প্রসঙ্গে লিখিত আছে, রঘুর আগমন-কালে মুক্ষগণ বৈতসী বৃত্তি আশ্রয় করিয়া অর্থাৎ অবনত হইয়া আত্মরক্ষা করিয়াছিল। ‘দশকুমার চরিতে” সুহ্ম রাজ্যের রাজধানী দামলিপ্তের নাম পাওয়া যায় ; এই দামলিপ্তই তাম্রলিপ্ত । ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃত গ্রন্থে তাম্রলিপ্ত নগর— তমোলিপ্ত, তমেলিপ্ত, তাম্রলিপ্ত, তামলিপ্তম, তামলিপ্তি, তমালিকা, দামলিপ্ত, ও তমালিনী নামে উক্ত হইয়াছে। এরিয়ান ও মেগাস্থিনিস্ কর্তৃক ইহা তমোলিতি নামে উক্ত হইয়াছে। চৈনিক পরিব্রাজকের গ্রন্থে তনমোলিতি নাম দৃষ্ট হয়। তাম্রলিপ্ত রাজ্য হুগলী নদীর পশ্চিম হইতে উত্তরে বদ্ধমান ও কালনা পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বিষ্ণুপুরাণে এই রাজ্যের দেবরক্ষিত নামে এক রাজার নাম পাওয়া যায়। মহাভারতে আছে তাম্রলিপ্তের রাজা দ্রৌপদীর স্বয়ংবরে গমন করিয়াছিলেন। ভাগবতে স্বক্ষদিগকে পাপী বলা হইয়াছে। বোধ হয় সুহ্মেরা সেই সময় বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিল। ব্যাকরণ মহাভাষ্যে মুহ্মনগরবাসী বুঝাইতে সৌন্ধনগর পদ প্রযুক্ত হইয়াছে। এই সুহ্মনগর তাম্রলিপ্তের নাম | তাম্রলিপ্ত নগর বাণিজ্যের জন্য পূৰ্ব্বদেশে প্রসিদ্ধ ছিল। নানা দেশের বণিকেরা এখানে বাণিজ্যার্থে আসিত। তাম্রলিপ্তের সন্নিহিত সমুদ্রে . জলদসু্যর উপদ্রব ছিল। কখনও কখনও তাম্রলিপ্তের বড় লোকেরাও
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।