গোড়ের ইতিহাস । "לצ “এতে কলিঙ্গাঃ কৌন্তেয় যত্র বৈতরণী নদী। যত্রা যজত ধৰ্ম্মোইপি দেবাঞ্ছরণমেত্য বৈ ৷ ঋষিভিঃ সমুপাযুক্তং যজ্ঞীয়ং গিরিশোভিতং। উত্তর তাঁরমেতদ্ধি সততং দ্বিজ-সেবিতং ॥ বনপৰ্ব্ব—১১৪৪-৫ ইহা উড়িষ্যার দক্ষিণ হইতে মান্দ্রাজ উপকুল দিয়া পলিকট পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কখনও কখনও উড়িষ্যা পর্য্যস্ত ইহার অন্তভূক্ত হইয়া গঙ্গাতীর পৰ্য্যন্ত ইহার সীমা বিস্তৃত হইত। মেদিনীপুর জেলার কাসাই নদী * অনেক সময় ইহার উত্তর সীমা হইত। ইহার পশ্চিমদিকে অন্ধু রাজা ছিল। তিববতীয় পরিব্রাজক তারানাথ বলিয়াছেন ; ইহা তৈলঙ্গের একটি ভাগ। “শক্তিসঙ্গম তন্ত্র” মতে শ্ৰী-শৈল হইতে চোল দেশের মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত কলিঙ্গ দেশ বিস্তৃত ছিল ৷ + রাজমহেন্দ্রী, করিঙ্গ, কলিঙ্গপত্তন, সিংহপুর, চিকাকোল, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কলিঙ্গের রাজধানী ছিল। কলিঙ্গপত্তন গঞ্জাম জেলার বংশধার নদীর তীরবর্তী। কলিঙ্গরাজ্য জয় করিতে মহারাজ অশোকের নয় বৎসর অতীত হয়। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে কলিঙ্গ অতি পরাক্রান্ত রাজ্য ছিল । হিউএন সাংএর সময়ে রাজমহেন্দ্রী নগরে কলিঙ্গের রাজধানী ছিল । কলিঙ্গরাজ্যের বেষ্টন সেই সময়ে পাঁচহাজার লি অর্থাৎ ৮৪৩ মাইল ছিল। মহেন্দ্রগিরি এই রাজ্যের প্রধান পৰ্ব্বত। অনেক পুরাণেই মহেন্দ্রগিরির নাম আছে, বিষ্ণুপুরাণ মতে মহেন্দ্রগিরি হইতে ঋষিকুল্য নদী বহির্গত হইয়াছে । মহেন্দ্রগিরি
- প্রাচীন নাম কংসাৰতী। এই নদীই রঘুবংশোক্ত কপিশা ।
+ শক্তিসঙ্গমের মতে কলিঙ্গের দক্ষিণস্থ অtট যোজন পৰ্য্যন্ত স্থানের নাম কলিঙ্গ। মহাভারতে (কর্ণপৰ্ব্ব ৪৪ অধ্যায়ে ) কলিঙ্গের নাম আছে। কলিঙ্গদেশে পূৰ্ব্বে লৌহ পাওয়া যাইত ।