প্রথম অধ্যায় । ミ> দেবের সময় ঐ মন্দির বর্তমান আকারে পরিণত হয়। অনঙ্গভীমদেব বা অনিয়ঙ্কভীমদেব অতি প্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। ইনিই বিগ্রহের সেবার ব্যবস্থা করেন । ইহার সময়ে উড়িষ্যায় সমস্ত রায়, পট্টনায়ক, সেনাপতি প্রভৃতি পদের সৃষ্টি হয় । এখন যেখানে জগন্নাথ দেবের মন্দির রহিয়াছে, পূৰ্ব্বে সেখানে একটা বৌদ্ধমন্দির ছিল। জগন্নাথের বিগ্রহ পূৰ্ব্বে জঙ্গলে লুক্কায়িত ছিলেন, ও শবরজাতি কর্তৃক পূজিত হইতেন । জগন্নাথবিগ্ৰহমধ্যে বিষ্ণুপঞ্জর খানিকে কেহ কেহ বুদ্ধদেবের দন্ত মনে করেন। লাঙ্গুলিয়া নরসিংহ দেব উড়িষ্যার একজন প্রসিদ্ধ রাজা । তাহার রাজ্য আক্রমণ করিতে গিয়া পাঠানের পুনঃ পুনঃ পরাজিত হয়, এবং তাহার সেনাগণ পাঠান-রাজধানী গৌড় আক্রমণ করে। পাঠানদিগের সহিত সৰ্ব্বদা উড়িষ্যার বিরোধ চলিয়াছিল। ইংরাজী ১৫৬৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত উড়িষ্যায় হিন্দুস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ ছিল । ত্রিপুর রাজ্য । ত্রিপুরার রাজবংশ শান জাতি হইতে উৎপন্ন। কিন্তু ত্রিপুরার ইতিহাস রাজমালার মতে এই বংশ যযাতির পুত্র দ্রুহ হইতে জাত। দ্রুহ, যে পূৰ্ব্বদিকে আসিয়াছিলেন, তাহার কোন প্রমাণ নাই, বরং তিনি পশ্চিম দিকেই গমন করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ আছে। রাজমালার মতে, রাজা ত্রিলোচন যুধিষ্ঠিরের রাজস্বয় যজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু মহাভারতে ত্রিলোচনের নাম নাই। রাজমালার মতে ক্রহর পুত্র ত্রিপুর হইতে এই দেশের ত্রিপুর নাম হয়। কিন্তু কোন পুরাণে ক্রহর পুত্ৰ ত্রিপুরের নাম নাই । ত্রিপুরার স্তায় হিড়িম্ব অর্থাৎ কাছাড় দেশ ও মণিপুর দেশের লোকেও শান বা লৌহিত্যবংশ হইতে উৎপন্ন। ভীম-পত্নী হিড়িম্বার সঙ্গে এই হিড়িম্বদেশের কোন সম্পর্ক নাই। সেই হিড়িম্বা ও তাহার
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।