૨8 ' গৌড়ের ইতিহাস । “অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গেষু সৌরাষ্ট্র মগধেযু চ । তীর্থযাত্ৰাং বিনা গচ্ছন পুনঃ সংস্কারমর্হতি ॥” যখন তীর্থযাত্রার প্রসঙ্গ আছে, তখন অতি অল্পসংখ্যক আর্য্যেরও এদেশে আগমন হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । যেখানে যেখানে আর্য্যতপস্বিগণ আশ্রমস্থাপন করেন, তাহা তীর্থস্থান হইয়া দাড়ায়। t মধ্যম পাণ্ডব ভীমসেন রাজস্বয়যজ্ঞের পূৰ্ব্বে বঙ্গ-রাজ সমুদ্রসেন ও চন্দ্রসেনকে যুদ্ধে পরাজত করেন। * মহাভারতে আছে, বঙ্গাধিপ মহতী গজ সেনা লইয়া কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধে কৌরব-পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। দশম দিনের যুদ্ধে তিনি নিজের গজদ্বারা দুৰ্য্যোধনের রথ আবরণ না করিলে, ঘটোৎকচের শক্তি অস্ত্রে দুৰ্য্যোধনের প্রাণ যাইত । লোকে বলে, পাণ্ডবেরা মেঘনা নদীর পূৰ্ব্বস্থ দেশের অবস্থা পরিজ্ঞানার্থ ভীমসেনকে পাঠাইয়াছিলেন। ভীমসেন মেঘনার পরপারে পদার্পণ করিয়াই, ভ্রাতচতুষ্টয়কে গালি দিতে আরম্ভ করিলেন। ভীমসেনের স্বভাব দেখিয়া যুধিষ্ঠির ভীমকে ডাকিয়া পাঠান; তদবধি মেঘনার পুৰ্ব্বস্থিত দেশ পাওব-বর্জিত নামে খ্যাত হইয়াছে। ফল কথা, আর্য্যগণ বহু পরে এদেশে আগমন করিয়াছিলেন। মহাপ্রস্থানিক পর্কে আছে, পাণ্ডবেরা মহাপ্রস্থান-কালে পূৰ্ব্বদিকে আসিয়াছিলেন। অর্জুন উদয়াচলের প্রান্তস্থিত লৌহিত্যসাগরে গাওঁীব ত্যাগ করেন। মহাভারতাদি প্রাচীন গ্রন্থাদি আলোচনা করিলে বোধ হয়,— বর্তমান ময়মনসিংহের সমতলাংশ, পাবনা, রাজসাহী, নওয়াখালি যশোহর, খুলনা, নদীয় প্রভৃতি জেলা পূৰ্ব্বকালে সমুদ্রমগ্ন ছিল।
- সভাপবর্ব ৩৯ অধ্যায় ।
মহাভারত পাঠ করিলে বোধ হয়, মগধের জয়ৎসেন, কৌশিকীকচ্ছের মহোঁজ। প্রভৃতি আটজন রাজ। সন্ধিবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, অথবা একই বংশোৎপন্ন ছিলেন । উহাদিগকে কালেয় অসুরদিগের অবতার বলা হইয়াছে । উক্ত অtটজনের মধ্যে জয়ৎসেন সর্বপ্রধান ছিলেন সমুদ্রসেনের ধৰ্ম্মার্থতত্ত্ববিৎ বিশেষণ দৃষ্ট হয়।