প্রথম অধ্যায় । ×ግ রাজবংশ রাজত্ব করিতেন, জানা গিয়াছে। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে এই বংশে শীলভদ্রের জন্ম হয়। শীলভদ্রের প্রকৃত নাম দন্তদেব । মগধরাজসভায় দক্ষিণাপথের পণ্ডিতগণকে বিচারে পরাজিত করিয়া শীলভদ্র উপাধি পান ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যাপক হন (৫৫৪ খৃঃ অঃ)। তিব্বতের তারানাথ-কৃত মগধের রাজবংশের ইতিহাস হইতে জানা যায়, পূৰ্ব্বজনপদাধীশ্বর শ্রীচন্দ্রের সভায় খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগে বসু বন্ধু বিদ্যমান ছিলেন। গান্ধারদেশীয় এই মহাপণ্ডিত শ্রাবস্তিরাজ বিক্রমাদিত্য ও তৎপুত্র প্রাদিতোর নিকট অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন। বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারার্থ বঙ্গদেশে আগমন করিয়া কিয়ংকাল ধৰ্ম্মচন্দ্রের সভায় অবস্থিতি করেন। আমরা পূর্ববঙ্গের ধাড়িচন্দ্র মাণিচন্দ্র ও গোবিন্দচন্দ্রের নাম পাইয়াছি । শ্রীচন্দ্র ও ধৰ্ম্মচন্দ্র সম্ভবতঃ সেই বংশের উদ্ধতন পুরুষ । এই সকল নামের শেষে চন্দ্র থাকায়, এই বংশের “চন্দ্র-বংশ” নাম রাখিলাম । ইহার পর বম্মবংশ বঙ্গদেশ শাসন করিয়াছিলেন । চীন জাতি মধ্যে মধ্যে বঙ্গদেশ আক্রমণ করিত। নৌকা-যোগে যে সকল চীনবাণী বঙ্গদেশ আক্রমণ করিত, তাহারা মাঝি নামে খ্যাত ছিল। কেহ কেহ বলেন, বাঙ্গালার নৌকার মাঝি শব্দ ঐ শব্দ হইতে উৎপন্ন। চীনদেশীয়েরা বাঙ্গালায় পলুপোকার চাষ প্রবর্তন করে । ভাদ্রমাসে মুসলমানের যে বেড়া-পৰ্ব্ব করে, তাহাও চীনদের একটা পৰ্ব্ব । সমতট । বঙ্গদেশের এক নাম সমতট * । তবকৎ-ই-নামিরী গ্রন্থে সমতটের সনকট বা সাকট নাম লিখিত আছে। হোয়েনসাং লিখিয়াছেন,
- "বরাহমিহির-কৃত কুৰ্ম্মবিভাগ গ্রন্থে বঙ্গ, উপবঙ্গ ও जबडेक পৃথক্ দেশ ধর ইইয়াছে । বোধ হয়, বঙ্গের সমুদ্রতীরস্থ অংশই সমতট।