રીઝ গৌড়ের ইতিহাস । “সমতটরাজ্য চক্রাকৃতি ; তাহার বেষ্টন তিন হাজার লি, ইহা সমুদ্রতীরবৰ্ত্তী। রাজধানীর বেষ্টন ২• লি ; ভূমি নিম্ন ও উর্বর ; অপৰ্য্যাপ্ত শস্ত জন্মে ; জলবায়ু প্রীতিকর ; অধিবাসিগণ থৰ্ব্বকায় কৃষ্ণবর্ণ ও কষ্টসহিষ্ণু ; রাজ্যে সত্যধৰ্ম্ম ( বৌদ্ধধৰ্ম্ম ) ও অপধৰ্ম্ম উভয়ই প্রচলিত ; ত্ৰিশটা সঙ্ঘারামে প্রায় দুই হাজার ব্রাহ্মণ বাস করিতেন ; রাজ্যে প্রায় একশত দেবমন্দির আছে ; অসংখ্য উলঙ্গ নিগ্রন্থ বাস করেন ; নগরের নিকটে অশোকস্ত,প বর্তমান আছে ; পূৰ্ব্বকালে তথাগত তথায় সপ্তাহকাল শাস্ত্র ব্যাখ্যা করেন ; ইহার পাশ্বে চারিজন বুদ্ধের উপবেশন-স্থান দৃষ্ট হয়। স্তপের নিকটস্থ সঙ্ঘারামে হরিং-প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ৮ফুট উচ্চ বুদ্ধমূৰ্ত্তি দৃষ্ট झुम्न ।' সমতটের মধ্যে রায়পুর বজ্রযোগিনী, মঠবাড়ী জম্বুসর সুবর্ণগ্রাম, বেজিনীসার ( বজ্ৰিণীসার ) বাজাসন ( বজ্রাসন ), যোগিডিহা প্রভৃতি স্থানে সঙ্ঘারাম ছিল বলিয়া অনুমিত হয় । কোন সময়ে বঙ্গের বাঙ্গালা নাম হয়, তাহ নিশ্চয় বলা যায় না। বঙ্গদেশ ব্ৰহ্মপুত্র ও গঙ্গার জলে প্লাবিত হইত। উচ্চ উচ্চ বাধ বা আলি দিয়া অধিবাসীরা কোনরূপে জলপ্লাবন হইতে আপনাদের বাসস্থান রক্ষা করিত, তজ্জন্ত ৰঙ্গ আলি বা আল হইতে বঙ্গালা বা বাঙ্গালা নাম হইয়াছে। যে কারণেই হউক,—মুসলমানদের আগমনের পূৰ্ব্বে বাঙ্গালা নামের উৎপত্তি হইয়াছে। রাজেন্দ্রচোলের তিরুমলয়ের শিলালিপিতে বঙ্গাল শব্দটা দৃষ্ট হয়। ঐ শিলালিপি মুসলমানদের আগমনের পূর্বে উৎকীর্ণ হইয়াছে। দক্ষিণ বঙ্গের নদীমাত্রকে গাঙ বলে ; উহা গঙ্গ শব্দের অপভ্রংশ। ইহাতে অনুমিত হয়—দক্ষিণ বঙ্গের অধিকাংশ নদী গঙ্গার জল বহন করিয়া সমুদ্রে পতিত হইত। তৎসমুদয় কর্তৃক মানীত মৃত্তিকা দ্বারা বঙ্গদেশ গঠিত হইয়াছে। সুবর্ণগ্রাম, রামপাল, বিক্রমপুর,
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।