"రిe গৌড়ের ইতিহাস । বনমালার গীত শুনা যায়। ময়নামতী ইতর লোকের মধ্যে এখনও ময়নাবুড়ি নামে পূজিত হইতেছেন। গোবিন্দচন্দ্রের সন্ন্যাস গ্রহণের সময়, উছন তাহার সঙ্গী হইতে চাহিয়াছিলেন । কিন্তু গোবিন্দচন্দ্র তাহাতে অস্বীকৃত হন ।* মহারাষ্ট্র দেশে গোপীচাদ নামক সন্ন্যাসী রাজার উপাখ্যান প্রচলিত আছে। গোপীচাঁদ গৌড়ের অন্তর্গত কাঞ্চন নগরে রাজত্ব করিতেন, তাহার পিতার নাম ত্ৰৈলোক্যর্চাদ । তিনি জলন্ধর নামক সন্ন্যাসী কর্তৃক দীক্ষিত হন। গোবিন্দচন্দ্র ও গোপীচাঁদ এক ব্যক্তি কি না, বলা যায় না । খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে “অভিধান চিন্তামণি”-কার হেমচন্দ্র স্থরি বঙ্গদেশকে হরিকেলীয় নামে অভিহিত করিয়াছেন । উপবঙ্গ । বঙ্গের দক্ষিণে সমুদ্র-তটবৰ্ত্তী স্থানের প্রাচীন নাম উপবঙ্গ । দিগ্বিজয় প্রকাশে আছে :– “ভাগীরথ্যাঃ পূৰ্ব্বভাগে দ্বিযোজনতঃ পরে। পঞ্চ যোজন-পরিমিতোহ্যপবঙ্গোস্তি ভূমিপ।” বরাহ মিহিরের গ্রন্থে উপবঙ্গের নাম আছে ৷ যথা— “উদয় গিরি ভদ্র গৌড়কপৌণ্ডাৎকল কাশী-মেকলাম্বষ্ঠাঃ । একপদ-তাম্রলিপ্তককোশলকাঃ বৰ্দ্ধমানশ্চ আগ্নেষ্যাং দিশি কোশল কলিঙ্গোপবঙ্গ জঠরাঙ্গাঃ । বৃং সং ১৪৭৮ চগুলি জাতি এই অংশে প্রধান অধিবাসী ছিল। তাহার মধ্যে ৯০ جي
- এই বংশীয়দের রাজত্বকালে বঙ্গদেশে শিল্পকার্য্যের অত্যন্ত উন্নতি হয় । ভৰচন্দ্রের ভগ্নপ্রাসাদ-মধ্যে ( ইহা রঙ্গপুরের ৭.৮ ক্রোশ দক্ষিণে অবস্থিত ) লৌহ-পরিষ্কারক ৰন্ত্রের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। মধুপুরের জঙ্গলে রাণীকৃত লৌহমল পড়িয়া আছে । এ সময়ে গৃহে ও ইনারায় একরূপ লেপ (সিমেন্ট) ব্যবহৃত হইত, তাহা কিরূপে ও কি উপদানে প্রস্তুত হুইত, অদ্যাপি নিৰ্ণীত হয় নাই—বঙ্গদর্শন, ১৩১৪ চৈত্র ।