চতুর্থ অধ্যায়। Vరి হয়। রোস্তাম দস্তান, স্বৰ্য্যনামক ব্যক্তিকে হিন্দুস্থানের রাজা করেন। 麵 দক্ষিণ দেশ ও বাঙ্গালা অধিকার করেন। স্বৰ্য্যের মৃত্যুর পর তংপুত্র বাইরাজ পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করেন । কিন্তু সোয়ালেক পৰ্ব্বতবাসী কেদার নামক ব্রাহ্মণ র্তাহাকে পরাজিত করিয়া রাজা হন । অনন্তর কোচদেশের রাজা সাঙ্গলদেব বঙ্গদেশ ও বিহার অধিকার পূর্বক কেদারকে পরাজিত করিয়া লক্ষেীতি নগরকে স্বীয় রাজধানী করেন। সাঙ্গলদেব কোচ রাজ্য হইতে চারি হাজার গজারোহী, এক লক্ষ অশ্বারোহী ও চারি লক্ষ পদাতিক সঙ্গে লইয়া আসিয়া গৌড়নগর স্থাপন করেন ; তুরাণের রাজা আফরি সায়াব তাহার নিকট কর চান, তিনি কর দিতে অস্বীকার করায়, তুরাণরাজ তাহার বিরুদ্ধে পঞ্চাশ হাজার সেনা প্রেরণ করেন। ঘোড়াঘাটের নিকট সাঙ্গলদেবের সেনার সহিত তাহাদিগের ভয়ানক যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে তুরাণরাজের মোগলসেনা পরাজিত হয়। আফুরি সায়ার ইহার পর সসৈন্তে উপস্থিত হইলে, সাঙ্গলদেব ভয়ে পলায়ন করেন । তুরাণরাজকর্তৃক ত্রিহুতের নিকট সাঙ্গলদেব ধৃত হন। এই বর্ণনায় বোধ হয় যেন, গৌড় নগর উত্তরাঞ্চলবাসী কোচদিগের স্থাপিত * এবং স্থাপনের সমকালেই একবার মোগলআক্রমণ সহ্য করিয়াছিল। মোগলজাতির সহিত কোচজাতীয়গণের সজঘর্ষ নিতান্ত ভিত্তিহীন বলিয়া বোধ হয় না । ইউরোপীয় জাতিতত্ত্ববিং পণ্ডিতগণের মতে, কোচ জাতি দ্রাবিড়ীয় জাতির একটা শাখা । কোচজাতীয়গণের অবয়বগঠনে এবং আচারব্যবহারে মোগলজাতির সহিত মিশ্রণের পরিচয় পাওয়া যায়, এবং তাহা হইতে জাতিতত্ত্বা
- সম্ভবতঃ কোচ জাতি, আইহোরাণী দেবীর বেদীর প্রতিষ্ঠা করে । আইহোরাণীর, পূজায় ছাগ মহিষ বলিদানে কোচ ভিন্ন অপর জাতির অধিকার নাই। অপর জাতি বলি ও পশু জানিলে, কোচ পুরুষ তাহ ছেদন করে।