চতুর্থ অধ্যায়। \ు{
- করেন। “রাটীয় শাকলদীপিকা” নামক গ্রন্থে আছে, দশ জন ব্রাহ্মণ
l ལྐོར། দেশ ত্যাগ করিয়া গৌড়মগুলে আগমন করিয়াছিলেন * । ঝাড়খণ্ডের
- মই মধ্যদেশ ।
খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে গৌড়ে ধৰ্ম্মাদিত্য নামক রাজ রাজত্ব করি তেন । র্তাহার সময় গৌড়ে শৈবধৰ্ম্মের বিশেষ প্রাতুর্ভাব ছিল ৷ ফরিদপুরে এই রাজার তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে + । গোড় কখনও কখনও পুণ্ড,বদ্ধন হইতে স্বতন্ত্রভাবে নিজের ক্ষমতা পরিচালন করিত। শূরবংশীয় রাজগণের পূৰ্ব্বে ভোজবংশীয় আট জন নৃপতি ৪৫৭ বৎসর রাজত্ব করেন । শেষ রাজার নাম মাণিক্য লক্ষ্মণ । উনি রাজ বি ক্রমাদিত্যের সময় বৰ্ত্তমান ছিলেন । বিক্রমসেন বা বিক্রমীদিতা নামে গোড়ের একজন রাজার নাম পাওয়া যায় । তাহার সভায় সর্বধর্মাবলম্বীদের ধৰ্ম্মসম্বন্ধে তর্ক হইয়াছিল। "কথাসরিৎসাগর” “বিদ্বন মোদতরঙ্গিণী” প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থে ও “তন্ত্রবিভূতি” আদি বাঙ্গালা গ্রন্থে বিক্রমসেনের নাম উল্লেখ থাকায়, নামটী কাল্পনিক বলিয়া বোধ হয় না । নেপালের ইতিহাসে আছে, কাশ্যপ ও বুদ্ধ, গৌড়েশ্বর প্রচণ্ডদেবকে স্বয়স্তু ও গুহেশ্বরী দেবীর পূজা করিতে আদেশ করেন। প্রচণ্ডদেব আপনার পুত্ৰ শক্তিদেবের উপর রাজ্যভার সমর্পণ করিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করিলে, তাহার শান্ত শ্ৰীবজাচার্য্য নাম হয় । এই ঘটনার কিঞ্চিং পরে কাম্বোজ, রাজগণের অভু্যদয় হয় । দিনাজপুরের একখানি প্রস্তর লিপিতে এই শ্লোকটী উৎকীর্ণ আছে : —
- "দগুপাণি মহানন্দো দশষিপ্রাঃ প্রকীৰ্ত্তিতা !
মধ্যদেশং পরিত্যজ্য গৌড়দেশে সমাগতাঃ ” + frldian Antiquary, Vol XXI, P. 43.
পুও বৰ্দ্ধন নাম কোন পৌরাণিক গ্রন্থে পাওয়া যায় না । বোধ হয়, পূৱবংশের রাজত্বকালে পুণ্ড, নগরের পুণ্ড ৰন্ধন নাম হয়।