চতুর্থ অধ্যায়। تهران সকলেই বহুসংখ্যক কাশ্মীরসেনাকর্তৃক আক্রান্ত হইয়া “অঞ্জনাদ্রিদৃষৎ খণ্ডের ষ্ঠায় সমরভূমিতে” শয়ন করিয়াছিল। এই বর্ণনায় গৌড়বাসিগণের বর্ণের কৃষ্ণত্ব স্থচিত হইতেছে । এই সময়ে গৌড়ে অত্যন্ত গোলযোগ উপস্থিত হয়। প্রাগজ্যোতিষপরের রাজা ভগদত্ত-বংশীয় হর্ষদেব এই সুযোগে কিয়ৎকাল গৌড় অধিকার করিয়া রাখেন । উক্ত দেশাধিপ দ্বিতীয় জয়দেবও কিয়ৎকালের জন্য গৌড় অধিকার করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে, কৌশাম্বীর রাজা বৎসরাজ গৌড় জয় করিয়া দুইটী মহামূল্য মণিমুক্তখচিত ছত্ৰদণ্ড ও অন্তান্ত দ্রব্য লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যান । কিন্তু রাষ্ট্রকুটরাজ ধ্রুব বা ধারবর্ষ তাহাকে পরাজিত করিয় তাহ কাড়িয়া লয়েন । লাটাধিপতি রাষ্ট্রকূট-বংশীয় কর্ক সুবর্ণবর্ষের ৭৩৪ শাকাঙ্কিত তাম্রশাসনে আছে, তিনি গৌড়েন্দ্র ও বঙ্গপতিকে যুদ্ধে পরাজিত করেন । মগধের সিংহাসন লইয়া গুপ্ত ও মৌখরী-বংশের বিবাদে উভয়বংশ হীনবল হইয়া পড়ে। সেই সুযোগে শূর-বংশ গৌড়ে স্বাধীনভাবে রাজত্বারম্ভ করেন। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত বৃহৎসংহিতাতে আছে, মৈত্র দৈবত নক্ষত্রে কেতু দ্বারা আধুমিক বা স্পৃষ্ট হইলে, পুণ্ড,পতির এবং শ্রবণ কেতুদ্বারা ঐরূপ হইলে বঙ্গাধিপতির বিনাশ হয় । ইহা দ্বারা জানা যাইতেছে, বৃহৎ সংহিতার রচনাকালে পুণ্ড,ও বঙ্গ ফুট গণনীয় রাজ্য পৃথকৃ পৃথক্ রাজার শাসনাধীন ছিল । যোগবাশিষ্ঠ রচনাকালেও পুণ্ড, মগধ, বঙ্গ, উপবঙ্গ প্রভৃতি স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল । পুণ্ডবৰ্দ্ধন নগরে পুঞ্জ রাজ্যের রাজধানী ছিল । করতোয়া তীরবত্তী মহাস্থান পুঞ্জবৰ্দ্ধন নহে। মালদহ জেলার পাণ্ডুয়াই প্রাচীন পুণ্ড বৰ্দ্ধন। তিনটা কারণে এইরূপ অনুমিত হয়, ১ম,–পাণ্ডুয়ার নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশে পুও, জাতির বাস। ২য় –জৈনদের পূৰ্ব্বদেশে যে তিনটা প্রধান শাখা ছিল,
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।