পঞ্চম অধ্যায় । ক্ষিতিশূর, অবনিশূর, ধরণীশূর, ধরাশর ও রণপূর—এই সাতজন রাজ রাজত্ব করেন। লঘুভারত-কার বলেন, আদিশূর তেজঃশেখর নামক রাজার বংশজাত * । তেজঃশেখর রাজার কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই লঘুভারত-কার আরও বলেন, শূরবংশের শেষ রাজা জয়ধর বৌদ্ধদিগের কর্তৃক প্ৰপীড়িত হষ্টয়া সঙ্গীক নৌকারোহণপূর্বক নৌকা জলমগ্ন করাইয় প্রাণত্যাগ করেন । ঘটক কীরিকার মতে, শূরবংশীয়গণ গৌড়রাজ্যে রাজত্ব করিতেন, কিন্তু পুগু বৰ্দ্ধনে তাহাদিগের রাজধানী ছিল, ইহা উল্লিখিত আছে । তথন পুণ্ড বদ্ধন নগর অপেক্ষ গৌড় নগর উন্নত হইয়া উঠিতেছিল, তজ্জন্ত রাজার ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি ধারণ করিতেন। শশাঙ্ক নরেন্দ্র ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন, কিন্তু কর্ণসুবর্ণে র্তাহার রাজধানী ছিল । কাশ্মীরের ইতিহাস রাজতরঙ্গিণীতে পুণ্ড বৰ্দ্ধন নামক নগরের জয়ন্ত রাজার বিবরণ আছে । জয়ন্ত ও আদিশূর একই ব্যক্তি, ইহা আমরা “ভূশুরেণ চ রাজ্ঞাপি শ্ৰীজয়ন্তস্থতেন চ”—ব্রাহ্মণডাঙ্গ নিবাসী প্ৰবংশীবদন বিদ্যারত্ব ঘটক-সংগৃহীত কুলপঞ্জিকাগ্রন্থের এই বচনে জানিতে পারি। আদিশূরকে বৈদ্যজাতীয় বলিয়া দেবীবর ঘটকের বিশ্বাস ছিল । আদিশূর প্রথমে সামান্ত রাজা ছিলেন। র্তাহার পূৰ্ব্বে গৌড়রাজ্য পাঁচ ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রত্যেক ভাগে এক এক জন স্বাধীন রাজা রাজত্ব করিতেন । রাজতরঙ্গিণী আলোচনা করিলে জানা জায়, কাশ্মীররাজ জয়াপীড় + ৭৬৫ খৃষ্টাব্দে, পুণ্ড বৰ্দ্ধন নগরে আসিয়াছিলেন । তিনি ছদ্মবেশে সন্ধ্যাকালে নগরে প্রবেশ করেন |
- কেহ কেহ বলেন, আদিশূর, শশাঙ্ক নরেন্সের বংশজাত বীরসেন জেবের নামান্তর,
অমর সমস্ত মতেরই উল্লেখ করিলাম। তবে আমাদের যে মত্ত, তাছা মূলে সন্নিবিষ্ট i + জয়াপীড় বা জরাদিত্যে ৭৫১ খৃঃ হইতে ৭৮২ খৃঃ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন।