পাতা:গ্রন্থাকারনামা - প্রমিলচন্দ্র বসু .pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থাগারিক এবং বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বন্ধুবর ঐযুক্ত তিনকড়ি দত্ত কয়েক বৎসর পূর্বে আমাকে বিশেষ অনুরোধ করেন। ইহাদের আগ্রহে এবং বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি কুমার মুনীন্দ্র দেব রায় মহাশয়ের নিকট হইতে উৎসাহ পাইয়। আমি এই কার্য্যে ব্ৰতী হই এবং পরীক্ষামূলক ভাবে দুই সংখ্যা বিশিষ্ট একটি গ্রন্থকার-নাম প্রণয়ন করি। আমাদের দেশের প্রচলিত রীতি, দেশীয় ভাষার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া .এই গ্রন্থকার-নামা প্রণয়ন করা হইয়াছে বলিয়া, কাটারের গ্রন্থকার-নামার মূল নীতির সহিত ইহার কয়েকটি বিষয়ে গভীর পার্থক্য আছে। তন্মধ্যে দুইটি বিষয়ের উল্লেখ করিব। প্রথমতঃ কটারের গ্রন্থকার-নামায় গ্রন্থকারের নিজের ব্যক্তিগত নামের পরিবর্তে বংশের উপাধিকে প্রাধান্ত দেওয়া হইয়াছে ; এই •গ্রন্থকার-নামায় ব্যক্তিগত নামকে প্রাধান্ত দেওয়া হইয়াছে। আমাদের দেশীয় ভাষায় গ্রন্থকার বা লেখকের নামের । সূচী বংশের উপাধির বর্ণানুক্রমে প্রস্তুত করা প্রচলিত রী ल বিরুদ্ধ। দেশীয় ভাষায় গ্রন্থকার বা লেখকের নিজ নামের বর্ণানুক্রমে নামের সূচী প্রণয়ন করাই আমাদের দেশের সাধারণ নিয়ম। দেশীয় ভাষার সাময়িক পত্রিকাদিতে লেখকের নামের যে সূচী বাহির হয় অথবা গ্রন্থাগারগুলিতে লেখকের নামের বর্ণানুক্রমে দেশীয় ভাষায় লিখিত যে সকল গ্রন্থসূচী (Catalogue) প্রণয়ন করা হয়, তাহাদের প্রণয়ন পদ্ধতির প্রতি লক্ষ্য করিলেই এ বিষয়ের সত্যত উপলব্ধি করা যাইবে। প্রচলিত রীতির কথা ছাড়িয়া দিলেও দেশীয় ভাষার পুস্তকের জন্য পাশ্চাত্য প্রথা অনুসারে লেখক বা গ্রন্থকারের বংশগত নামের বর্ণানুক্রমে গ্রন্থকার-নাম প্রণয়ন করিলে, কাৰ্য্যতঃ এত জটিলতা ও অসুবিধা উপস্থিত হইবার MGTSMMA AMSMS MMM MAAAA SAS SSAS SSAS