পাতা:গ্রন্থাকারনামা - প্রমিলচন্দ্র বসু .pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নষ্ট হইয়া যাইবে । সেজন্য এই গ্রন্থকার নামায় গ্রন্থকারের বংশগত উপাধির পরিবর্তে ব্যক্তিগত নামের বর্ণানুক্রম গ্রহণ করা হইয়াছে। r, দ্বিতীয়তঃ কাটার তাহার গ্রন্থকার নামার গ্রন্থকার নামের সাঙ্কেতিক চিহ্ন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে একটি (S) ব্যতীত অন্যান্য ব্যঞ্জন । বর্ণের (Consonants) আদ্যক্ষর বিশিষ্ট নামের মাত্র প্রথম অক্ষরটি গ্রহণ করিবার ব্যবস্থা দিয়াছেন এবং প্রধানতঃ নামের প্রাথমিক উচ্চারণ কতকটা বজায় রাখিবার জন্য স্বরবর্ণ গুলির (Vowels) এবং একটি ব্যঞ্জন বর্ণের (S) আদ্যক্ষর বিশিষ্ট নামের প্রথম দুইটি বা দুইটির অধিক অক্ষর গ্রহণ করিবার ব্যবস্থা দিয়াছেন। বাংলা ভাষায় যুক্তাক্ষরের সংখ্যা অত্যন্ত বেশী। নামের আদ্যক্ষরের জন্ত সমগ্র যুক্তাক্ষর লইলে, বর্ণানুক্রমে উহাদের স্থান নির্ণয়ের জটিলতা উপস্থিত হয়। সেজন্য নামের উচ্চারণের প্রতি লক্ষ্য না রাখিয়া কার্য্যের সুবিধার জন্য যুক্তাক্ষরের প্রথম অক্ষরটি গ্রহণ করাই যুক্তি সঙ্গত হইবে বলিয়া বিবেচিত হওয়ায় এই গ্রন্থকার-নামায় সেইরূপ নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। তবে গ্রন্থকার-নামের প্রয়োজন হইলে, কার্য্যের সুবিধা হইবে বলিয়া সে ক্ষেত্রে যুক্তাক্ষর গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। এই প্রকার ব্যবস্থার প্রয়োজন একটু চিন্তা করিলে সহজেই বুঝিতে পারা যাইবে। প্রায় পাঁচ বৎসর যাবৎ এই গ্রন্থকার-নামা বাংলা দেশের ইহার কার্য্যকারিত সম্বন্ধে আর সন্দেহ নাই দেখিয়া গ্রন্থাগার । পরিচালন কাৰ্য্যের সহিত সংশ্লিষ্ট বহু ব্যক্তি ইহ মুদ্রিত । করিবার জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানাইতেছেন।