পাতা:গ্রন্থাকারনামা - প্রমিলচন্দ্র বসু .pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- [ :१] দ্বিতীয় খণ্ড প্রভৃতি বুঝাইবার জন্ত গ্রন্থকার নামের সাঙ্কেতিক চিহ্নের নীচে ‘খঃ ১, খঃ ২, প্রভৃতি লিখিতে হইবে। ১০ । কোন পুস্তকের টীকা, ভান্য বা সমালোচনা ঐ পুস্তকের পাশ্বে রাখিতে ইচ্ছা করিলে গ্রন্থকারের নামের সঙ্কেতের পরে ‘ৎ’ যোগ করিয়া তৎপরে যুক্তাক্ষর বর্জন করিয়া টীকাকার, ভাষ্যকার বা সমালোচকের নামের আদ্যক্ষর লিখিতে হইবে । ১১ । কোন ব্যক্তির জীবনী অথবা সমালোচনা ইত্যাদি সম্পৰ্কীয় পুস্তকে গ্রন্থকার নামের সাঙ্কেতিক চিহ্নের জন্য র্যাহার জীবনী অথবা সমালোচনা সেই পুস্তকে আছে তাহার সঙ্কেত গ্রহণ করিতে হইবে ; এবং ঐ সঙ্কেতের পরে যুক্তাক্ষর বর্জন করিয়া লেখক বা সমালোচকের নামের আদ্যক্ষর যোগ করিতে হইবে। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির জীবনী বা সমালোচনা সংক্রান্ত পুস্তক হইলে লেখক বা সমালোচকের নামের সঙ্কেত গ্রহণ করিতে হইবে । উদাহরণ :--"চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনীর গ্রন্থকার নাম সঙ্কেত হইবে ‘ঈ ৬ চ' এবং ‘সুরেন্দ্র নাথ দাস গুপ্ত প্রণীত ‘রবিদীপিতা’ নামক পুস্তকের গ্রন্থকার নাম সঙ্কেত হইবে 'র ১৯ স’ ; পক্ষাস্তরে "চণ্ডীচরণ বসাক প্রণীত শত জীবনী’ নামক পুস্তকের গ্রন্থকার নাম সঙ্কেত হইবে 'চ ১৮ ১১ । গ্রন্থকার-নামা ব্যবহারকালে একই শব্দের দ্বিত্ব অক্ষর যুক্ত বানান এবং দ্বিত্ব অক্ষর বর্জিত বানানের মধ্যে সাধারণতঃ কোন পার্থক্য নাই বলিয়। মনে করিতে হইবে । উদাহরণ :–‘ধৰ্ম্মদাস’ ও ‘ধম দাস’ শব্দ দুইটির বর্ণানুক্রমিক স্থানের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই বলিয়া মনে করিতে হইবে । ১৩ । গ্রন্থকার নামের সাঙ্কেতিক চিহ্নগুলিকে দশমিকের ন্যায় গণ্য করিতে হইবে এবং এই প্রকার চিন্তুদ্বারা চিহ্ণিত পুস্তকগুলিকে